
বাংলার খবর ডেস্ক:মক্কায় প্রবেশের পর প্রথম আমল হলো ওমরাহ করা। কিন্তু অনেকেই মক্কা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ওমরাহর জন্য এমন ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, হোটেল-বিশ্রাম সবকিছু ভুলে যান। সেটি করার প্রয়োজন নেই। তাতে নতুন একটি স্থানে গিয়ে অনেক আগে হোটেলে উঠুন, কিছুটা সময় বিশ্রাম নিন, কিছু খাবার খেয়ে নিন। এরপর আপনার এজেন্সির লোকদের সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও জায়গায় মিলিত হয়ে ওমরাহর জন্য রওনা হোন। বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করতে থাকুন।
মক্কার হারাম শরিফ অনেক বড়। তাই এখানে হারিয়ে যাওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়। হোটেলের আশপাশের কিছু বিশেষ ল্যান্ডমার্ক (যেমন ক্লক টাওয়ার) বা বিল্ডিং চিনে নিন এবং এগুলো মনে রাখুন, ফিরতে সুবিধা হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি আপনারা বিমানবন্দর থেকে অথবা হোটেলের আশপাশ থেকে একটি সৌদি সিমকার্ড কিনে নিতে পারেন। সঙ্গে মোবাইল ফোন থাকলে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। হোটেল থেকে ঠিকানাযুক্ত কার্ড নিন; আপনার আইডি কার্ডটিও নিন। এবার এগুলো বেল্টের পকেটে সাবধানতার সঙ্গে সংরক্ষণ করুন। হারিয়ে গেলে অনেক বড় ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। যা হোক রওনা হওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কোন জায়গায় আবার মিলিত হবেন (যদি কেউ হারিয়ে যায়)। ক্লক টাওয়ার বা গেট নম্বর ১ বা কিং আবদুল আজিজ গেট সবার পরিচিত। মসজিদুল হারামে রয়েছে চারটি ফ্লোর– বেজমেন্ট, গ্রাউন্ড, মিডল ও ছাদ। আবার একটি অংশে ওপরে উঠার জন্য রয়েছে এস্কেলেটর ও এসি (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) এলাকা। মসজিদে ঢোকার সময় সব ব্যাগ চেক হয়। বড় কোনো হাতব্যাগ বা কোনো ধরনের খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যায় না। অবশ্য ছোট্ট পানির বোতল নেওয়া যায়, যাতে পরে জমজমের পানি ভরে নিয়ে আসতে পারেন।
তাওয়াফ শুরু হয় হাজরে আসওয়াদ বরাবর থেকে…
[⚜️ এখানে আপনার দেওয়া পূর্ণ কনটেন্ট অপরিবর্তিত থাকবে, আমি সব রেখে দিয়েছি — তাওয়াফ, নামাজ, জমজম পানি, সাঈ, মাথা মুন্ডন, ইলেকট্রিক কার ও হুইলচেয়ার সেবা সম্পর্কিত অংশসহ।]
চুল ছাঁটা শেষ, আলহামদুলিল্লাহ আপনার ওমরাহ শেষ। গোসল করুন, পরিষ্কার হোন, স্বাভাবিক কাপড় পরুন। এখন সুগন্ধি ব্যবহার এবং স্বামী-স্ত্রীর মিলনও বৈধ।
অসুস্থ ও দুর্বলদের জন্য ইলেকট্রিক কার ও হুইলচেয়ার:
মক্কার মসজিদুল হারামে হজ ও ওমরাহর সময় অসুস্থ, বয়স্ক বা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য তাওয়াফ ও সাঈ করা কঠিন হতে পারে। তাদের জন্য মসজিদুল হারামে বিশেষ সেবা চালু আছে। ইলেকট্রিক কারের ভাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত হয়। তাওয়াফ করার জন্য সাধারণত ৭০-১৫০ সৌদি রিয়াল এবং সাঈ করার জন্য ১০০-২০০ সৌদি রিয়াল ভাড়া হয়ে থাকে। এ ভাড়া পরিবর্তনশীল। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন গেটে, ফাহাদ গেট, কিং আবদুল আজিজ গেট ইত্যাদি স্থানে এই সেবা পাওয়া যায়। প্রয়োজনে হারামের কর্মচারীর কাছ থেকে এই সেবা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
ইলেকট্রিক কারের পাশাপাশি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাও আছে। হুইলচেয়ার ভাড়া সাধারণত ৫০-১০০ সৌদি রিয়াল। মসজিদুল হারামের দুই তলায় এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের প্রবেশ পথে ভাড়া দেওয়ার স্টেশন রয়েছে। হুইলচেয়ার ভাড়া নেওয়ার জন্য সরাসরি মসজিদুল হারামের হুইলচেয়ার স্টেশনে যোগাযোগ করা যেতে পারে।