
বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত তিন কলেজছাত্র হত্যা মামলাগুলোতে ১১ মাস তদন্ত শেষে অবশেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলোতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চারজন সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ছয় উপজেলা চেয়ারম্যান, চারজন মেয়র, এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫০৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্টের ঘটনায় আন্দোলনবিরোধী পাল্টা মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিক্ষার্থী সবুজ মিয়া (১৮)। একই দিন সরকারি একটি দ্রুতগামী গাড়ির চাপায় নিহত হয় মাহবুব আলম ও শারদুল আশীষ সৌরভ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও অনেকে।
মামলার তদন্ত শেষে ৩টি পৃথক চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে— মূল অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই দেশত্যাগ করেছেন বা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন সাবেক হুইপ-এমপি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, এবং প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার গাড়িচালক।
তিনটি মামলার মধ্যে সবুজ মিয়ার মামলায় ২০৫ জন, মাহবুব আলমের মামলায় ১৫০ জন এবং শারদুল আশীষ সৌরভের মামলায় আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ না পাওয়ায় ৩৩ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “চার্জশিট অনুমোদনের পর আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হলেই পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হবে।”
স্থানীয় সুশীল সমাজ, নিহত ছাত্রদের পরিবার এবং সাধারণ মানুষ দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছে। পুরো জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।