ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ষায় ডুবে যায় সড়ক, উঁচু ও টেকসই নির্মাণে জোর দাবি লাখাই ইউনিয়নবাসীর

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ লাখাই-বামৈ সড়কটি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নিচু সড়কটি বর্ষার সময় যান চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে ইউনিয়নের অন্তত ১৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এই সড়কটি স্থায়ীভাবে উঁচু ও টেকসইভাবে পুনর্নির্মাণ করার দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ এটি শুধু ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নয়, বরং অর্থনৈতিক, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সঙ্গেও সরাসরি সম্পৃক্ত।

ভোগান্তি বাড়ছে, অর্থনৈতিক ক্ষতিও চরমে
শুকনো মৌসুমে লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত মাত্র ১০ মিনিটে পৌঁছানো গেলেও বর্ষাকালে সেই পথ পাড়ি দিতে লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। নৌকা ছাড়া কোনো বাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া এবং সহ্য করতে হয় অনিশ্চিত অপেক্ষা। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা ও রোগীরা, যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব জনতা
জনসাধারণের একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে অভিযোগ, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের দুর্ভোগ তুলে ধরেছেন। তাদের ভাষ্য— এই সড়কটি উঁচু ও টেকসইভাবে নির্মিত হলে ইউনিয়নের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পার্শ্ববর্তী জনগণও এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন, ফলে এর গুরুত্ব বহুগুণ।

চেয়ারম্যানের ভাষ্য
১নং লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপম বলেন,
“সড়কটি যদি টেকসই ও উঁচু করে পুনর্নির্মাণ করা হয়, তাহলে ইউনিয়নবাসী সারাবছর নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। শিক্ষাসহ স্বাস্থ্যসেবায় আসবে গতি, বাড়বে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন।”

লাখাই-বামৈ সড়কের টেকসই পুনর্নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এটি শুধু একটি রাস্তা নয়—এটি ইউনিয়নবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের পথ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর একটাই আবেদন— তীব্র ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে সড়কটি স্থায়ীভাবে উঁচু ও পাকা করে নির্মাণ করা হোক।

বর্ষায় ডুবে যায় সড়ক, উঁচু ও টেকসই নির্মাণে জোর দাবি লাখাই ইউনিয়নবাসীর

আপডেট সময় ০৮:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ লাখাই-বামৈ সড়কটি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নিচু সড়কটি বর্ষার সময় যান চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে ইউনিয়নের অন্তত ১৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এই সড়কটি স্থায়ীভাবে উঁচু ও টেকসইভাবে পুনর্নির্মাণ করার দাবি দীর্ঘদিনের। কারণ এটি শুধু ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নয়, বরং অর্থনৈতিক, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সঙ্গেও সরাসরি সম্পৃক্ত।

ভোগান্তি বাড়ছে, অর্থনৈতিক ক্ষতিও চরমে
শুকনো মৌসুমে লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত মাত্র ১০ মিনিটে পৌঁছানো গেলেও বর্ষাকালে সেই পথ পাড়ি দিতে লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। নৌকা ছাড়া কোনো বাহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া এবং সহ্য করতে হয় অনিশ্চিত অপেক্ষা। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা ও রোগীরা, যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব জনতা
জনসাধারণের একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে অভিযোগ, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের দুর্ভোগ তুলে ধরেছেন। তাদের ভাষ্য— এই সড়কটি উঁচু ও টেকসইভাবে নির্মিত হলে ইউনিয়নের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পার্শ্ববর্তী জনগণও এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন, ফলে এর গুরুত্ব বহুগুণ।

চেয়ারম্যানের ভাষ্য
১নং লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপম বলেন,
“সড়কটি যদি টেকসই ও উঁচু করে পুনর্নির্মাণ করা হয়, তাহলে ইউনিয়নবাসী সারাবছর নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে। শিক্ষাসহ স্বাস্থ্যসেবায় আসবে গতি, বাড়বে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন।”

লাখাই-বামৈ সড়কের টেকসই পুনর্নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এটি শুধু একটি রাস্তা নয়—এটি ইউনিয়নবাসীর জীবনমানের উন্নয়নের পথ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর একটাই আবেদন— তীব্র ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে সড়কটি স্থায়ীভাবে উঁচু ও পাকা করে নির্মাণ করা হোক।