ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ Logo যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা — “হাজারো শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন” বললেন সৈয়দ মো. ফয়সল Logo ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার Logo মহাসড়কে উল্টে গেল লরি, কুমিল্লায় ১০ কিমি যানজট ও ৫ ঘণ্টা ভোগান্তি Logo মুজিববাদী সংবিধান বাতিলের আহ্বান নাহিদের, সব জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার দাবি Logo পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ! Logo সারজিস আলম ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপি নিষিদ্ধ ঘোষণা Logo বাড়ি ফিরেছেন প্রসূন আজাদের বাবা, নিখোঁজের পর ফেরার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা Logo একটু পর মাঠে গরম উত্তেজনা, মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান Logo চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র

ঠিকাদারের কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ঠিকাদার ও ওসির এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

ওই কথোপকথনে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগের জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরে তো বিল পামু, তাই না?’

একপর্যায়ে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ (এক পিস আধা পিস) জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী, বোঝ না? এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবো নে।’ তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রেকর্ডটা ভাইরাল হলে পক্ষে-বিপক্ষে তুলকালাম কাণ্ড তৈরি হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইটনা শাখার সংগঠক আফজাল হুসাইন শান্ত বলেন, ‘আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে। এখানে ওসি কীভাবে জিলাপি খেতে চাইতে পারেন? আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন?’

এ বিষয়ে ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, ‘তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। তিনি দাবি করেন, এ রেকর্ডটা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হতে পারে। আমি যতটুকু শুনেছি এই ছেলের নামে পিআইসির টেন্ডার নাই তাহলে আমি কেন এ ছেলের কাছে জিলাপি চাইবো। হয়তো কোনো এক সময় এই ছেলে আমাকে ফোন দিয়েছিল ওই ফোনের সময়টা ঠিক রেখে এআইর মাধ্যমে তৈরি করেছে। আর যে রেকর্ডটা মানুষজন আমাকে শুনিয়েছে এতে তো অনৈতিক কিছু দেখছি না। আমি মানুষকে জিলাপি খাওয়াতে বলেছি।

টাকার পরিমাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এ ছেলে ছোট মানুষ। তার কাছে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসতে পারে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার তদন্তের দাবি জানাই।’

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

বিজয়নগরে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য জব্দ

error:

ঠিকাদারের কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি

আপডেট সময় ১১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন। ঠিকাদার ও ওসির এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

ওই কথোপকথনে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগের জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরে তো বিল পামু, তাই না?’

একপর্যায়ে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ (এক পিস আধা পিস) জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী, বোঝ না? এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবো নে।’ তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রেকর্ডটা ভাইরাল হলে পক্ষে-বিপক্ষে তুলকালাম কাণ্ড তৈরি হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইটনা শাখার সংগঠক আফজাল হুসাইন শান্ত বলেন, ‘আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে। এখানে ওসি কীভাবে জিলাপি খেতে চাইতে পারেন? আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন?’

এ বিষয়ে ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, ‘তিনিও অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন। তিনি দাবি করেন, এ রেকর্ডটা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হতে পারে। আমি যতটুকু শুনেছি এই ছেলের নামে পিআইসির টেন্ডার নাই তাহলে আমি কেন এ ছেলের কাছে জিলাপি চাইবো। হয়তো কোনো এক সময় এই ছেলে আমাকে ফোন দিয়েছিল ওই ফোনের সময়টা ঠিক রেখে এআইর মাধ্যমে তৈরি করেছে। আর যে রেকর্ডটা মানুষজন আমাকে শুনিয়েছে এতে তো অনৈতিক কিছু দেখছি না। আমি মানুষকে জিলাপি খাওয়াতে বলেছি।

টাকার পরিমাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এ ছেলে ছোট মানুষ। তার কাছে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসতে পারে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার তদন্তের দাবি জানাই।’

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’