ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এনসিপি ছাড়লেন শহীদ সাংবাদিক তুরাবের ভাই Logo বিজিবির বিশেষ অভিযানে হবিগঞ্জ সীমান্তে ১০ লাখ টাকার চোরাচালানি পণ্য জব্দ Logo শেরপুরে বাস পুকুরে উল্টে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত ১৫ Logo জামায়াতকে ’৭১ সালের ভুল স্বীকার করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান শামসুজ্জামান দুদুর Logo আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু: সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা Logo ট্রাম্পের শুল্কের পর মোদি বললেন, ‘চড়া মূল্য দিলেও আপস করব না’ Logo তিন ইউনিয়ন অন্য আসনে, প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়ক অবরোধ Logo মাধবপুরে বাসচাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু Logo মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪ Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে বড় বিজয়: বরিশালে সেলিমা রহমানের বক্তব্য

খসরু না সাঈদ; চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন কে?

চট্টগ্রাম-১০ আসনটি খুলশী, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, হালিশহর ও ডবলমুরিং নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত এটি ছিল চট্টগ্রামের অন্যতম বড় নির্বাচনি আসন। তবে তখন এটি চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন হিসাবে পরিচিতি ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনটির সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ দুটি আসনে ভাগ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

বর্তমানে এটি খুলশী-হালিশহর আসন হিসাবে পরিচিত। এই আসনে অতীতে জাতীয় নেতারা নির্বাচন করেছেন। এ কারণে এর গুরুত্বও বেশি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির চট্টগ্রামের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্যও এখানে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে দলটির নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে এই আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন ছোটখাটো দল এই আসন থেকে অতীতে প্রার্থী দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এসব দলের মধ্যে এখনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু সেই দলের তৎপরতাও এখনো চোখে পড়ছে না। তাই আপাতত বিএনপি এবং জামায়াতের মনোনয়ন নিয়েই তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ-সদস্য হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ডা. মো. আফছারুল আমীন। ২০২৩ সালের ২ জুন মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগ আগ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এরপর উপ-নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডামি’ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন মহিউদ্দিন বাচ্চু।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ১০ আসনটি যখন খুলশি-হালিশহর-বন্দর-পতেঙ্গাসহ বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল তখন এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হন আমির খসরু। ২০০১ থেকে ২০০৫ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। পাশপাশি তার আসন ভেঙে করা চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন থেকেও মনোনয়ন চাইতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। চট্টগ্রামের মানুষ হিসাবে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রতি আলাদা টান রয়েছে। অতীতে চারবার এমপি থাকাকালে চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি। আগামীতে দলীয় মনোনয়ন পেলে শেষ বয়সে এসে নিজেকে চট্টগ্রামবাসীর সেবায় নিয়োজিত রাখব।

দলীয় নেতারা বলছেন, চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রয়াত হওয়ার পর বিএনপির একমাত্র অভিভাবকের ভূমিকায় রয়েছেন আমির খসরু। তিনি চট্টগ্রাম ১০ ও ১১ দুটি আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন এবং বিজয়ী হবেন।

এদিকে চটগ্রাম ১০ আসন থেকে নোমানের ছেলে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান তূর্য দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। ১৭ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়ে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নোমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সাঈদ। সেই সভা থেকেই সাঈদকে রাজনীতির মাঠে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নোমান। জানতে চাইলে সাঈদ আল নোমান বলেন, আমার বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার খুব কাছ থেকে দেখেছি কিভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয় এবং জীবন উৎসর্গ করতে হয়। তিনি বলেন, আমি গত ৭ মাসে চট্টগ্রাম-১০ আসনে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে নিজস্বভাবে একটি জরিপ করেছি এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমি মেয়র, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাঁচটি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। ওনারাও আমাকে কথা দিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব সমস্যার দৃশ্যমান সমাধান হবে।

জানতে চাইলে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, এই আসনটি এমন একটি আসন যেখানে অনেক বড় বড় জাতীয় নেতা নির্বাচিত হয়ে সংসদে গেছেন। দেশের কল্যাণে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। আমরা প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করব, যেন আমার কাজের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয় এবং দেশকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হয়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, নির্বাচিত করবেন সাধারণ ভোটাররা।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

এনসিপি ছাড়লেন শহীদ সাংবাদিক তুরাবের ভাই

error:

খসরু না সাঈদ; চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন কে?

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম-১০ আসনটি খুলশী, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, হালিশহর ও ডবলমুরিং নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত এটি ছিল চট্টগ্রামের অন্যতম বড় নির্বাচনি আসন। তবে তখন এটি চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন হিসাবে পরিচিতি ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনটির সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ দুটি আসনে ভাগ করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করা হয়।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

বর্তমানে এটি খুলশী-হালিশহর আসন হিসাবে পরিচিত। এই আসনে অতীতে জাতীয় নেতারা নির্বাচন করেছেন। এ কারণে এর গুরুত্বও বেশি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির চট্টগ্রামের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্যও এখানে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে দলটির নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে এই আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন ছোটখাটো দল এই আসন থেকে অতীতে প্রার্থী দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে এসব দলের মধ্যে এখনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু সেই দলের তৎপরতাও এখনো চোখে পড়ছে না। তাই আপাতত বিএনপি এবং জামায়াতের মনোনয়ন নিয়েই তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ-সদস্য হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ডা. মো. আফছারুল আমীন। ২০২৩ সালের ২ জুন মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগ আগ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এরপর উপ-নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডামি’ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন মহিউদ্দিন বাচ্চু।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ১০ আসনটি যখন খুলশি-হালিশহর-বন্দর-পতেঙ্গাসহ বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল তখন এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হন আমির খসরু। ২০০১ থেকে ২০০৫ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। পাশপাশি তার আসন ভেঙে করা চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন থেকেও মনোনয়ন চাইতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। চট্টগ্রামের মানুষ হিসাবে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রতি আলাদা টান রয়েছে। অতীতে চারবার এমপি থাকাকালে চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি। আগামীতে দলীয় মনোনয়ন পেলে শেষ বয়সে এসে নিজেকে চট্টগ্রামবাসীর সেবায় নিয়োজিত রাখব।

দলীয় নেতারা বলছেন, চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রয়াত হওয়ার পর বিএনপির একমাত্র অভিভাবকের ভূমিকায় রয়েছেন আমির খসরু। তিনি চট্টগ্রাম ১০ ও ১১ দুটি আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন এবং বিজয়ী হবেন।

এদিকে চটগ্রাম ১০ আসন থেকে নোমানের ছেলে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান তূর্য দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। ১৭ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড মোড়ে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নোমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সাঈদ। সেই সভা থেকেই সাঈদকে রাজনীতির মাঠে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নোমান। জানতে চাইলে সাঈদ আল নোমান বলেন, আমার বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার খুব কাছ থেকে দেখেছি কিভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয় এবং জীবন উৎসর্গ করতে হয়। তিনি বলেন, আমি গত ৭ মাসে চট্টগ্রাম-১০ আসনে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে নিজস্বভাবে একটি জরিপ করেছি এবং সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমি মেয়র, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাঁচটি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। ওনারাও আমাকে কথা দিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব সমস্যার দৃশ্যমান সমাধান হবে।

জানতে চাইলে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, এই আসনটি এমন একটি আসন যেখানে অনেক বড় বড় জাতীয় নেতা নির্বাচিত হয়ে সংসদে গেছেন। দেশের কল্যাণে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। আমরা প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করব, যেন আমার কাজের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয় এবং দেশকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হয়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, নির্বাচিত করবেন সাধারণ ভোটাররা।