
লিটন বিন ইসলাম। বাংলার খবর ডেস্কঃ
ঈদ—যেখানে আনন্দ, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠে, সেখানে এবারের ঈদ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় রূপ নেয় এক শোকাবহ, রক্তাক্ত এবং আতঙ্কজনক অধ্যায়ে।
ঈদের দিন সকালেই উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে আহত হন বহু মানুষ। ঈদের নামাজ শেষ হবার আগেই রক্তে রাঙে জামা-কাপড়, মেহেদির রঙ মুছে যায় বেদনার রক্তে।
পরদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেজুড়া গ্রাম। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা বেনু মেম্বারকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে; টানটান হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বেজোড়া গ্রামে সংঘর্ষ
এদিকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে বহরা ইউনিয়নের সোনাই নদীর রাবার ড্যামে নিখোঁজ হন এক পর্যটক। পরদিন উদ্ধার হয় তার মরদেহ। ঘটনাটি এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিখোঁজ পর্যটক
এই শোক ও উত্তেজনার মধ্যেই চৌমুহনী ইউনিয়নের বরুড়ায় ঘটে আরেক মর্মান্তিক ঘটনা—বাড়ির পাশে খেজুর গাছে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক বৃদ্ধা। পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চরম বিষণ্নতা।
আত্মহত্যা করেন বৃদ্ধা
ঈদের শেষ প্রহরে সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ ঘটে মাধবপুর বাজারে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিতে হয় স্থানীয় প্রশাসনের।
মাধবপুর বাজারে সংঘর্ষ
একের পর এক সংঘর্ষ, মৃত্যু, আত্মহত্যা আর নিখোঁজের ঘটনা ঈদের আনন্দকে বিষাদে পরিণত করেছে। পুরো উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক, উদ্বেগ এবং নিরাপত্তাহীনতা।
পরিশেষে গতকাল উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনের কাছে টেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির
ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত যুবক
উপজেলার সচেতন মহলের অনেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন:
“আমরা কি ঈদের দিনেও শান্তি রাখতে পারি না? দিন দিন মানুষ যেন অমানুষে পরিণত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ হতে পারে।