ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চুরি করে বিক্রির সময় দপ্তরি হাতেনাতে ধরা!

বাংলার খবর ডেস্ক:

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার লাখাই আমানুল্লাহপুর বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চুরি করে বিক্রির সময় স্কুলের দপ্তরি মোহাম্মদ বিলাল মিয়া (৩৫) হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। অভিযুক্ত বিলাল মিয়া ওই গ্রামের মৃত হামিদুল্লাহর পুত্র।

জানা যায়, গত ১ নভেম্বর শনিবার স্কুল থেকে বেঞ্চ চুরি করে লাখাই বটতলা বাজারে বিক্রি করার সময় তাকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে এবং পরবর্তীতে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ বিলাল মিয়া তার ভুল স্বীকার করে বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি আর কখনো এমন করব না।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিলাল মিয়া বেঞ্চ চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, যে দোকানে চোরাই বেঞ্চগুলো বিক্রি করা হয়েছিল, সেই দোকান থেকে চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

শুধু বেঞ্চ চুরি নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে একই স্কুল থেকে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারিও চুরি হয়েছিল।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির মতে, অভিযুক্ত বিলাল মিয়া বিগত সরকারের আমলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই কীভাবে এই দপ্তরি পদে চাকরি পেয়েছিল, সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দপ্তরি মোহাম্মদ বিলাল মিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চুরি করে বিক্রির সময় দপ্তরি হাতেনাতে ধরা!

আপডেট সময় ১০:০০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক:

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার লাখাই আমানুল্লাহপুর বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চুরি করে বিক্রির সময় স্কুলের দপ্তরি মোহাম্মদ বিলাল মিয়া (৩৫) হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। অভিযুক্ত বিলাল মিয়া ওই গ্রামের মৃত হামিদুল্লাহর পুত্র।

জানা যায়, গত ১ নভেম্বর শনিবার স্কুল থেকে বেঞ্চ চুরি করে লাখাই বটতলা বাজারে বিক্রি করার সময় তাকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে এবং পরবর্তীতে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ বিলাল মিয়া তার ভুল স্বীকার করে বলেন, “আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি আর কখনো এমন করব না।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিলাল মিয়া বেঞ্চ চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, যে দোকানে চোরাই বেঞ্চগুলো বিক্রি করা হয়েছিল, সেই দোকান থেকে চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

শুধু বেঞ্চ চুরি নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে একই স্কুল থেকে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারিও চুরি হয়েছিল।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির মতে, অভিযুক্ত বিলাল মিয়া বিগত সরকারের আমলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই কীভাবে এই দপ্তরি পদে চাকরি পেয়েছিল, সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দপ্তরি মোহাম্মদ বিলাল মিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।