ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা: বাড়ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ, প্রশাসনের নীরবতায় প্রশ্ন!

বাংলার খবর ডেস্ক:

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কালাউক বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই অবৈধ নির্মাণের ফলে এলাকায় নিত্য যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন—পুরোনো স্থাপনা উচ্ছেদ না করে বরং নতুন করে আরও দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে, যা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাদিকারা গ্রামের সড়ক সংলগ্ন সরকারি জমিতে একটি নতুন টিনশেড ঘর তৈরি করা হচ্ছে। শুধু এই একটি নয়, আশেপাশেও অনেকে একইভাবে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের বেকি টেকা ব্রিজ থেকে বামৈ তিনপুল পর্যন্ত এলাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিশেষ করে ভাদিকারা যাওয়ার রাস্তার মুখে রিকশা, অটোরিকশা ও টমটমের কারণে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া এসব স্থাপনা খালের ওপর নির্মিত হওয়ায় বৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সংবাদ প্রকাশের পরও সরকারি জায়গা দখল করে নতুন করে আরও একটি দোকান তৈরি হয়েছে ভাদিকারা রাস্তার মুখে, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী শারমিন নেওয়াজ জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনিং থেকে ফিরে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার দাস বলেছেন, “আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব। যদি সরকারি জায়গায় হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা ভেঙে ফেলা হবে।”

তবে প্রশাসনের এমন আশ্বাস সত্ত্বেও এখনো কোনো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। বরং, অভিযোগ উঠেছে—সরকারি জায়গা উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে। এর সুযোগে দখলদাররা বেপরোয়া হয়ে আরও নতুন স্থাপনা নির্মাণ করছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, প্রশাসন কেন এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না? একদিকে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে, অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি ক্রমাগত বেদখল হচ্ছে। লাখাইবাসীর দাবি—দ্রুত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হোক।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

লাখাইয়ে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা: বাড়ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ, প্রশাসনের নীরবতায় প্রশ্ন!

আপডেট সময় ০৯:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক:

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কালাউক বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই অবৈধ নির্মাণের ফলে এলাকায় নিত্য যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন—পুরোনো স্থাপনা উচ্ছেদ না করে বরং নতুন করে আরও দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে, যা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাদিকারা গ্রামের সড়ক সংলগ্ন সরকারি জমিতে একটি নতুন টিনশেড ঘর তৈরি করা হচ্ছে। শুধু এই একটি নয়, আশেপাশেও অনেকে একইভাবে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের বেকি টেকা ব্রিজ থেকে বামৈ তিনপুল পর্যন্ত এলাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। বিশেষ করে ভাদিকারা যাওয়ার রাস্তার মুখে রিকশা, অটোরিকশা ও টমটমের কারণে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া এসব স্থাপনা খালের ওপর নির্মিত হওয়ায় বৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সংবাদ প্রকাশের পরও সরকারি জায়গা দখল করে নতুন করে আরও একটি দোকান তৈরি হয়েছে ভাদিকারা রাস্তার মুখে, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে লাখাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী শারমিন নেওয়াজ জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনিং থেকে ফিরে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার দাস বলেছেন, “আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব। যদি সরকারি জায়গায় হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা ভেঙে ফেলা হবে।”

তবে প্রশাসনের এমন আশ্বাস সত্ত্বেও এখনো কোনো উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। বরং, অভিযোগ উঠেছে—সরকারি জায়গা উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে। এর সুযোগে দখলদাররা বেপরোয়া হয়ে আরও নতুন স্থাপনা নির্মাণ করছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, প্রশাসন কেন এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না? একদিকে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে, অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি ক্রমাগত বেদখল হচ্ছে। লাখাইবাসীর দাবি—দ্রুত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হোক।