ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সেমিফাইনালের টিকিটের লড়াইয়ে আজ মাঠে লাখাই বনাম সোনারগাঁও Logo শেরপুর চেম্বার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রি ৩ গ্রুপে ৬৮ জন কিনলেন Logo নবীগঞ্জে শালিস কমিটির সভা: বাজারের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উপ-কমিটি গঠন, উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo লাখাইয়ে চোর আব্বাস মিয়া মোবাইলসহ আটক, জনতার উত্তম-মাধ্যমের পর ছেড়ে দিল! Logo জামালপুরে বাকশালের সাবেক এমপির মেয়ে আ.লীগ নেত্রী কাকলী গ্রেফতার Logo ভারতীয় মদসহ মাধবপুরে দুই যুবক আটক Logo বাগান ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তেলিয়াপাড়ায় চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ Logo আরও ১০ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে Logo কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু Logo আগুনে দগ্ধ শিশুদের পাশে মানবতার বাতিঘর ডা. তমালিকা দেব তিথি

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

সেমিফাইনালের টিকিটের লড়াইয়ে আজ মাঠে লাখাই বনাম সোনারগাঁও

error:

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

আপডেট সময় ০৩:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।