
বাংলার খবর ডেস্ক
সীমান্ত পথে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা ‘পুশইন’ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি জানান, কিছুদিন থামলেও পরে আবার অনুপ্রবেশ ঘটে, এবং অনেক সময় এর সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক ও রোহিঙ্গারাও জড়িত থাকছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বায়তুল ইজ্জতের বিজিবি ট্রেনিং সেন্টারে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান তিনি।
বিজিবি ডিজি বলেন, “আমরা বিএসএফকে নিয়ম অনুযায়ী নাগরিক হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা সম্মত হলেও, অনেক জায়গায় এখনো পুশইন অব্যাহত রয়েছে। এমনকি রোহিঙ্গা ও ভারতীয়দেরও কখনো কখনো পাঠানো হচ্ছে, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একাধিকবার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারতের হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
বর্ডার নিরাপত্তা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশজুড়ে আমাদের প্রায় ৫৭ হাজার জনবল রয়েছে, যা ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্তের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তবে নতুন বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট), ব্যাটালিয়ন এবং আরও ৫ হাজার জনবল যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সীমান্তের নিকটবর্তী ভোটকেন্দ্রগুলোয় বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। প্রয়োজনে বিজিবি, পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ডসহ সব বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে।”