
‘আপনারা দেখেছেন গত পরশুদিন জোকার সিদ্দিককে নাজেহালই করেছে না, জনাব তারেক রহমানের কথা অনুযায়ী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। আজকের এই কাউন্সিল অধিবেশনে যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের নেতৃত্বে গদা চুন্নুকে (জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু) পাকড়াও করে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবেন। আর তাদের দোসররা যদি সুযোগ বুঝে বিএনপিতে ঢুকতে পারে, বিএনপি শেষ।’
বুধবার (৩০ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। বিকেলে উপজেলার সাচাইল দারুল হুদা কাছেমুল উলুম মাদরাসা মাঠে এ সম্মেলন হয়।
আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, এইখানে (তাড়াইল) যে দখলদারিত্বের রাজনীতি করেছেন, আপনারা অনেকেই জানেন না সেই লোকটি কিশোরগঞ্জ শহরে একটি ডাক নামে পরিচিত। সেই নামটি হলো মুজিবুল হক চুন্নু ওরফে গদা চুন্নু। কিশোরগঞ্জের অনেক মানুষ আগে থেকেই এই নামটিতে তাকে জানেন। কিশোরগঞ্জ শহরে দুই জন চুন্নু ছিলেন একজন হলেন রেজাউল করিম খান চুন্নু আরেকজন হলেন মুজিবুল হক চুন্নু ওরফে গদা চুন্নু। এই গদা চুন্নুর দল এখানে লুটেপুটে খেয়েছে। সে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে লুটেপুটে খেয়েছে। এখন কি তাড়াইলের লোকজন বলতে পারবেন উনি কোথায় লুকিয়েছেন?
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
তাড়াইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছাইদুজ্জামান মোস্তফার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন লিটনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।