ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার Logo ছাগল চুরি করে বিক্রির সময় নবীগঞ্জে দুই চোর আটক Logo বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo মাধবপুরে তিনটি অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক সিলগালা Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার মালামাল ও যানবাহন জব্দ Logo লাখাইয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo লাখাইয়ে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের উপর দফায় দফায় হামলা ঘর বাড়ি ভাঙচুরও লুটপাট Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ রাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে তদন্ত সংস্থা

পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক, সেই নেতার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিল ছাত্রদল

সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল রেজার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাজনৈতিক পদ নেওয়ার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শিখা নামে এক তরুণী ফয়সাল রেজার স্ত্রী দাবি করেন। এ সময় রেজা বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎসহ নানা হয়রানির অভিযোগও তোলেন ওই তরুণী।

এদিকে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফয়সাল রেজাকে সাময়িক অব্যাহতির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার সদস্যসচিব ফয়সাল রেজাকে সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে উক্ত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানকে বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল রেজার স্ত্রী শিখা বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ ফয়সালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা সংসার শুরু করেন।

তিনি বলেন, ফয়সাল বেকার ছিলেন এবং সংসারের সমস্ত খরচ তাকেই চালাতে হয়েছে। এমনকি ফয়সাল তার পরিবার ও বিদেশে থাকা ভাইদের কাছেও টাকা পাঠাতেন শিখার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ থেকে। একপর্যায়ে তাকে মালয়েশিয়ায় থাকা ফয়সালের ভাইদের জন্য তিন লাখ টাকাও দিতে হয়। টাকা না দিলে ফয়সাল তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শিখা জানান, ‘গত ৫ আগস্টের পর সে আমার থেকে টাকা নিয়ে আমাকে এড়িয়ে চলে, হলে দখল নেয়, নেতা হয়ে যায়। তখন সে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। আমি সমস্ত খরচ দিয়েও তাকে আটকে রাখতে পারিনি। এ ঘটনা আমার সামাজিক মর্যাদাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

এরপর তিনি বিয়ের কাবিননামা ও লিখিত অভিযোগ ছাত্রদলের পার্টি অফিসে জমা দেন বলেও জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার

পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক, সেই নেতার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিল ছাত্রদল

আপডেট সময় ১০:২৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব ফয়সাল রেজার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাজনৈতিক পদ নেওয়ার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শিখা নামে এক তরুণী ফয়সাল রেজার স্ত্রী দাবি করেন। এ সময় রেজা বিরুদ্ধে অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎসহ নানা হয়রানির অভিযোগও তোলেন ওই তরুণী।

এদিকে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফয়সাল রেজাকে সাময়িক অব্যাহতির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার সদস্যসচিব ফয়সাল রেজাকে সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে উক্ত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানকে বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল রেজার স্ত্রী শিখা বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ ফয়সালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা সংসার শুরু করেন।

তিনি বলেন, ফয়সাল বেকার ছিলেন এবং সংসারের সমস্ত খরচ তাকেই চালাতে হয়েছে। এমনকি ফয়সাল তার পরিবার ও বিদেশে থাকা ভাইদের কাছেও টাকা পাঠাতেন শিখার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ থেকে। একপর্যায়ে তাকে মালয়েশিয়ায় থাকা ফয়সালের ভাইদের জন্য তিন লাখ টাকাও দিতে হয়। টাকা না দিলে ফয়সাল তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শিখা জানান, ‘গত ৫ আগস্টের পর সে আমার থেকে টাকা নিয়ে আমাকে এড়িয়ে চলে, হলে দখল নেয়, নেতা হয়ে যায়। তখন সে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। আমি সমস্ত খরচ দিয়েও তাকে আটকে রাখতে পারিনি। এ ঘটনা আমার সামাজিক মর্যাদাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

এরপর তিনি বিয়ের কাবিননামা ও লিখিত অভিযোগ ছাত্রদলের পার্টি অফিসে জমা দেন বলেও জানান।