ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আমার লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র আছে” — আসিফ মাহমুদ সজীব Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে, অযথা প্রশ্ন তোলা ঠিক না : আমীর খসরু Logo ৩ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ইশতেহার পাঠের কর্মসূচি ঘোষণা Logo সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনায় ডাকা হলো কেন? — প্রশ্ন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের Logo দ্বিকক্ষ সংসদে একমত, তবে ভোটপদ্ধতি নিয়ে মতভেদ Logo বিপিএলের জন্য ছয় বিদেশিকে দলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত Logo পুলিশের ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই: সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের চিরুনি অভিযানে আটক ১৩ Logo মাধবপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানের বিরুদ্ধে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

হবিগঞ্জের নালুয়া চা-বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা-বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া লজ্জাবতী বানর ।ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা-বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের লোকজন। আজ শনিবার দুপুরে ওই বাগানের একজন চা-শ্রমিকের বাড়ি থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সাতছড়ি বন্য প্রাণী রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া চা-বাগানের একজন শ্রমিক আজ সকালে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। বানরটি পথ হারিয়ে বন থেকে নালুয়া চা-বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে ওই শ্রমিক কৌশলে বানরটি ধরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন। হবিগঞ্জ বন প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসে এ খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাতছড়ি বন কর্মকর্তারা নালুয়া চা-বাগানে ওই শ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা বানরটির বয়স ৬ থেকে ৭ বছর হবে। একে একটি পূর্ণবয়স্ক বানর হিসেবে ধরা যায়। বন্য প্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর নামেও পরিচিত। এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানর-জাতীয় প্রাণী। ইংরেজিতে এটিকে বেঙ্গল স্লো লরিস বা নর্থান স্লো লরিস বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই প্রাণী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।

সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও তেল মাসুরা বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, লজ্জাবতী বানর বাংলাদেশে সংখ্যায় খুবই কম দেখা যায়। প্রাণীটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। লজ্জাবতী বানর সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় এবং গাছের কষ খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রজাপতি বানর সাতছড়ি বনে মাঝেমধ্যে দেখা যায়, এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবান এলাকায় মাঝেমধ্যে দেখা যায় এ বানর। বন কর্মকর্তা বলেন, বানরটি তাঁরা বনে ছেড়ে দেবেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লজ্জাবতী বানর পরিবেশবান্ধব প্রাণী। এটি খাঁচায় বন্দী করে রাখার প্রাণী নয়। কেউ এ কাজ করলে তা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনবিরোধী। এ প্রাণী উন্মুক্ত বনে রাখা উচিত।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
জনপ্রিয় সংবাদ

আমার লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র আছে” — আসিফ মাহমুদ সজীব

error:

হবিগঞ্জের নালুয়া চা-বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নালুয়া চা-বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছেন বন বিভাগের লোকজন। আজ শনিবার দুপুরে ওই বাগানের একজন চা-শ্রমিকের বাড়ি থেকে বানরটি উদ্ধার করা হয়।

সাতছড়ি বন্য প্রাণী রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া চা-বাগানের একজন শ্রমিক আজ সকালে একটি লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। বানরটি পথ হারিয়ে বন থেকে নালুয়া চা-বাগানে ঢুকে পড়ে। পরে ওই শ্রমিক কৌশলে বানরটি ধরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন। হবিগঞ্জ বন প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাতছড়ি রেঞ্জ অফিসে এ খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সাতছড়ি বন কর্মকর্তারা নালুয়া চা-বাগানে ওই শ্রমিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করেন।

উদ্ধার করা বানরটির বয়স ৬ থেকে ৭ বছর হবে। একে একটি পূর্ণবয়স্ক বানর হিসেবে ধরা যায়। বন্য প্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন লজ্জাবতী বানরকে সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। লজ্জাবতী বানর লাজুক বানর নামেও পরিচিত। এটি দেশের ক্ষুদ্রতম বানর-জাতীয় প্রাণী। ইংরেজিতে এটিকে বেঙ্গল স্লো লরিস বা নর্থান স্লো লরিস বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই প্রাণী বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের চিরসবুজ বনের বাসিন্দা।

সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও তেল মাসুরা বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, লজ্জাবতী বানর বাংলাদেশে সংখ্যায় খুবই কম দেখা যায়। প্রাণীটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। লজ্জাবতী বানর সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় এবং গাছের কষ খেয়ে বেঁচে থাকে। প্রজাপতি বানর সাতছড়ি বনে মাঝেমধ্যে দেখা যায়, এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবান এলাকায় মাঝেমধ্যে দেখা যায় এ বানর। বন কর্মকর্তা বলেন, বানরটি তাঁরা বনে ছেড়ে দেবেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লজ্জাবতী বানর পরিবেশবান্ধব প্রাণী। এটি খাঁচায় বন্দী করে রাখার প্রাণী নয়। কেউ এ কাজ করলে তা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনবিরোধী। এ প্রাণী উন্মুক্ত বনে রাখা উচিত।