ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবপুরে দিনমজুর হত্যা মামলার ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

Oplus_131072

শেখ ইমন আহমেদ মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়ার কারণে এক দিনমজুরকে হত্যার ঘটনায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) একেএম কামাল উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের অপর এক আসামি মারাজ মিয়া আগেই মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান মিয়া, একই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়া, প্রয়াত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়া এবং মুরাদপুর গ্রামের মৌলা মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া।

মামলার অভিযোগের বরাতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার তপন সিংহ জানান, বার চান্দুরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে দিনমজুর ছাবু মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে আসামিদের একজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এরই জেরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ছাবুকে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়। ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২১ মে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় তের জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী হাফিজ মিয়া বলেন, “১৬ বছর ধরে অত্যন্ত কষ্ট করে মামলা পরিচালনা করেছি। আমার ভাই সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

মাধবপুরে দিনমজুর হত্যা মামলার ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:২২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

শেখ ইমন আহমেদ মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরকীয়ার কারণে এক দিনমজুরকে হত্যার ঘটনায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) একেএম কামাল উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের অপর এক আসামি মারাজ মিয়া আগেই মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান মিয়া, একই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়া, প্রয়াত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়া এবং মুরাদপুর গ্রামের মৌলা মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া।

মামলার অভিযোগের বরাতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার তপন সিংহ জানান, বার চান্দুরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে দিনমজুর ছাবু মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে আসামিদের একজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এরই জেরে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ছাবুকে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়। ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২১ মে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় তের জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী হাফিজ মিয়া বলেন, “১৬ বছর ধরে অত্যন্ত কষ্ট করে মামলা পরিচালনা করেছি। আমার ভাই সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট।