ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদীয় আসনের শুনানিতে সিইসির সামনেই হাতাহাতি

বাংলার খবর ডেস্কঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি শুনানিতে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানির সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা বহাল রাখার পক্ষে ও বিপক্ষে উপস্থিত ব্যক্তিরা মুখোমুখি অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ইসির কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং উভয় পক্ষকে শুনানি কক্ষ থেকে বের করে দেন।

খসড়া প্রকাশের পর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের উপজেলা অখণ্ড রাখার দাবি জানান।

শুনানিতে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অপরদিকে স্থানীয় কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরে আপত্তি জানান।

এসময় নির্বাচন ভবনের বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভবনের সামনে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

শুনানির শুরুতে সিইসি বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

সংসদীয় আসনের শুনানিতে সিইসির সামনেই হাতাহাতি

আপডেট সময় ০৫:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি শুনানিতে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানির সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা বহাল রাখার পক্ষে ও বিপক্ষে উপস্থিত ব্যক্তিরা মুখোমুখি অবস্থানে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ইসির কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং উভয় পক্ষকে শুনানি কক্ষ থেকে বের করে দেন।

খসড়া প্রকাশের পর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের উপজেলা অখণ্ড রাখার দাবি জানান।

শুনানিতে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অপরদিকে স্থানীয় কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরে আপত্তি জানান।

এসময় নির্বাচন ভবনের বাইরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভবনের সামনে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।

শুনানির শুরুতে সিইসি বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক বিষয়গুলোই বিবেচনায় নেওয়া হবে।”