ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ডাকসু নির্বাচন: এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম — আবিদুল Logo মাধবপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা: আপন চাচা গ্রেপ্তার Logo ঢাকায় মাধবপুর উপজেলা আ.লীগ নেতা আপন গ্রেপ্তার Logo নেপালের প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগ, দেশ ছাড়ার গুঞ্জন Logo কুড়িগ্রামের সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন সাবেক ডিসি সুলতানা Logo ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি Logo নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে নতুন প্রক্রিয়া নেবে বিএনপি Logo মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে ২ জনকে জরিমানা Logo ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া বাংলো সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগ, শ্রমিকদের আপত্তি Logo সার পাচারের অভিযোগে লাখাইয়ের কৃষি কর্মকর্তা জ্যোতিলাল গোপের পদাবনতি

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচন: এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম — আবিদুল

error:

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

আপডেট সময় ০৩:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।