ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে বিদ্যুতের লুকোচুরি: জনদুর্ভোগ চরমে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি Logo লাখাই বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আল-আমিন ইসলাম অনিক Logo শেখ হাসিনার মামাতো ভাই আ. লীগ নেতা শেখ হীরা গ্রেপ্তার Logo হবিগঞ্জে ফ্যাসিবাদবিরোধী পদযাত্রায় নাহিদ ইসলামের হুঁশিয়ারি: “আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি” Logo আ. লীগের আমলে নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Logo নবীগঞ্জে তরুণীর রহস্যজনক আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি মানসিক অবসাদ Logo নবীগঞ্জে এসইডিপি প্রকল্পে ৩২ মেধাবী শিক্ষার্থীকে পুরস্কার Logo শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতা পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বিএনপি নেতারা Logo বাহুবল সদর থেকে রাজাপুর বাজার সড়কের বেহাল দশা: চরম ভোগান্তিতে সাত গ্রামের মানুষ Logo জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দিলে আইনের শাসন সম্ভব নয় — সৈয়দ মো. ফয়সল

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

লাখাইয়ে বিদ্যুতের লুকোচুরি: জনদুর্ভোগ চরমে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি

error:

কোটা আন্দোলনের নিউজ করায় গ্রেপ্তার হন সাংবাদিক, সঙ্গে ছিল ৫ বছরের শিশু

আপডেট সময় ০৩:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর প্রতিনিধি, শেরপুর:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় শেরপুরের সাংবাদিক মো. আবু হানিফকে তার ৫ বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই, যা স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

জাতীয় দৈনিক ‘দিনকাল’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন সাংবাদিক আবু হানিফ। জানা যায়, ১৩, ১৭ ও ২০ জুলাই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ২০ জুলাইয়ের ঘটনার পর পুলিশ ২১ তারিখ একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামি করে।

২৩ জুলাই বিকেলে শহরের কলেজ মোড় থেকে পুলিশ তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ৫ বছরের ছেলে আয়াতকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এসময় এসআই কামরুল ও এসআই ওয়াদুদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলে। আবু হানিফ জানান, তিনি বিরিয়ানি আনতে বের হয়েছিলেন; কারফিউর কারণে দোকান বন্ধ ছিল। ফেরার পথে পুলিশ তার পথ আটকায়।

আবু হানিফ আরও বলেন, “আমি আগেও সরকারের নানা দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি নিয়ে লেখালেখি করেছি। কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষেও লিখেছিলাম। অথচ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে আটক করে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুলিশ বলে আমি বিএনপি নেতা। আমি বলি আমি সাংবাদিক। তখন আমার শিশুসন্তান ভয়ে কান্না শুরু করে। আমি অনুরোধ করি ছেলের সামনে গালাগালি না করতে। কিন্তু পুলিশ গায়ে পড়ে আমার ছেলেসহ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”

পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত ওসি তাকে বলেন, “আমি জানি আপনি ভালো মানুষ। আইনের সব সুযোগ ব্যবহার করে আপনাকে মুক্ত করব।”

পরদিন ২৪ জুলাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে তিনি মুক্তি পান।

সাংবাদিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।