ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু Logo সাতছড়ির গাছপাচার ধামাচাপা দিতেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা! Logo নবীগঞ্জে নিহত সাব্বিরের পরিবারকে পুলিশ সুপারের উপহার সামগ্রী বিতরণ Logo ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে মাধবপুরে জশনে জুলুস পালিত Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এমপি প্রার্থী হতে পারবেন না Logo মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান Logo হবিগঞ্জে ৫৫ বিজিবির অভিযানে প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার মাদক ও চোরাচালানী পণ্য জব্দ Logo মাধবপুরে দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

সাবেক ৬ সেনা কর্মকর্তার সম্পদের তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন

বাংলার খবর ডেস্ক

সাবেক ছয় জন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদের উৎস নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে এই অনুসন্ধান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

দুদকের সূত্রে জানা যায়, তদন্তাধীন সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, এনটিএমসি, এনএসআই, এসএসএফ এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকরা। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংক হিসাব এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, এসব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে অর্জিত সম্পদের মিল নেই। কেউ কেউ বিদেশে অর্থ পাঠিয়েছেন হুন্ডির মাধ্যমে। ইতোমধ্যে তদন্তের স্বার্থে কিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—একাধিক বাড়ি, জমি ও ব্যাংক হিসাব, বিদেশে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং পারিবারিক সদস্যদের নামে সম্পদ স্থানান্তর। তদন্তের প্রয়োজনে আদালতের নির্দেশে কয়েকজন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

দুদক জানায়, বিগত কয়েক বছরে এসব অভিযোগ দাখিল হলেও উচ্চপর্যায়ের প্রভাবের কারণে তদন্ত কার্যকরভাবে এগোয়নি। তবে ২০২৫ সালের আগস্টের পর পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে অনুসন্ধান কার্যক্রম গতি পায়। দুদক জানিয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং শিগগিরই প্রক্রিয়াগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দুদক এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই উদ্যোগকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু

error:

সাবেক ৬ সেনা কর্মকর্তার সম্পদের তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন

আপডেট সময় ০৪:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক

সাবেক ছয় জন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদের উৎস নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে এই অনুসন্ধান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

দুদকের সূত্রে জানা যায়, তদন্তাধীন সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, এনটিএমসি, এনএসআই, এসএসএফ এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকরা। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, জমি, ব্যাংক হিসাব এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, এসব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে অর্জিত সম্পদের মিল নেই। কেউ কেউ বিদেশে অর্থ পাঠিয়েছেন হুন্ডির মাধ্যমে। ইতোমধ্যে তদন্তের স্বার্থে কিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—একাধিক বাড়ি, জমি ও ব্যাংক হিসাব, বিদেশে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং পারিবারিক সদস্যদের নামে সম্পদ স্থানান্তর। তদন্তের প্রয়োজনে আদালতের নির্দেশে কয়েকজন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

দুদক জানায়, বিগত কয়েক বছরে এসব অভিযোগ দাখিল হলেও উচ্চপর্যায়ের প্রভাবের কারণে তদন্ত কার্যকরভাবে এগোয়নি। তবে ২০২৫ সালের আগস্টের পর পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে অনুসন্ধান কার্যক্রম গতি পায়। দুদক জানিয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং শিগগিরই প্রক্রিয়াগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দুদক এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই উদ্যোগকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন।