
মোঃ হামিদুর রহমান
এক সময়ের গৌরবময় প্রতিষ্ঠান ‘চৌমুহনী খুর্শিদ হাই স্কুল এন্ড কলেজ’ আজ নানা প্রশ্নের মুখে। ১৯৪৫ সালে মরহুম মৌলভী শামসু উদ্দিন চৌধুরী ও স্থানীয় সমাজসেবীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষালয় আজ ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশগ্রহণ করে ১১৩ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৩১ জন। পাসের হার মাত্র ২৭.৬৬ শতাংশ। A+ অর্জনকারী নেই একজনও।
এই পরিস্থিতির পেছনে দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ:
🔹 **পরীক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন:** অতীতে গ্রেস মার্ক ও অটোপাস সংস্কৃতিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির মান হ্রাস পেয়েছে। এবার কঠোর পরীক্ষায় শিক্ষকেরাও প্রস্তুত ছিলেন না।
🔹 **রাজনীতি ও গা-ছাড়া মনোভাব:** শিক্ষক নিয়োগ থেকে কার্যক্রম—সবখানেই রাজনৈতিক ছায়া। মিটিং-মিছিলের ব্যস্ততায় শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ নেই অনেকের।
🔹 **নেতৃত্বের দুর্বলতা:** প্রতিষ্ঠান প্রধানের কঠোর পদক্ষেপের অভাব ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাব পুরো ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে।
🔹 **মেধাবী শিক্ষকরা কোণঠাসা:** ডিগ্রিধারী ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষক থাকলেও দলাদলির কারণে অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।
🔹 **অভিভাবকদের উদাসীনতা:** সন্তানের পড়াশোনায় অধিকাংশ অভিভাবক সচেতন নন। ফলাফল প্রকাশের দিন ছাড়া স্কুলে যোগাযোগ নেই বললেই চলে।
✅ **চৌমুহনী কেন্দ্রভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাসের হার:
– সাহেবনগর – ৫৩.৫৫%
– তালিবপুর – ৩৭.৬২% (A+ = ১ জন)
– জারিফ – ৩৬.৩৩%
– মনতলা – ২৫.৩৭%
– চৌমুহনী – ২৭.৬৬%
🔔 **এখনই সময় আত্মসমালোচনার**
এই পতনের দায় শুধু শিক্ষক-প্রধান নয়, অভিভাবক ও সমাজের সকল স্তরের। সবার সম্মিলিত চেষ্টাতেই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পুনরুদ্ধার সম্ভব।
📢 **একজন ব্যথিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী/অভিভাবকের আহ্বান:**
> দয়া করে আত্মসমালোচনা করুন, ভুলগুলো স্বীকার করুন এবং নতুনভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিন। না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের চোখে এই প্রতিষ্ঠান শুধুই একটি ব্যর্থতার নাম হয়ে থাকবে।