ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে নানা চেষ্টা

মাধবপুরে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

এর কারন হিসেবে সাধারণ মানুষ মনে করছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমানের পরিকল্পিত দিক নির্দেশনায় মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফাঁড়ি পুলিশ ও সমাজের সকল পেশার প্রতিনিদের নিয়ে মাধবপুরে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ, আত্মহত্যার প্ররোচনা সাইবার অপরাধ, সড়ক দূর্ঘটনা, কিশোর অপরাধ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে বৈঠক করে যাচ্চেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ অপরাধ থেকে বিরত থাকছে।

চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, মাধবপুরের বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক। মাদক নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, পুলিশ, রেব সহ দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজ সচেতেনতা প্রয়োজন। নাগরিক সমাজ পাড়া মহল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে পারলে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাধবপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় উঠান বৈঠকের কারনে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছে। অপরাধের প্রতি ঘৃনার ভাব সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন, ভৌগলিকপ্রক্রিয়ায় মাধবপুর উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেষা। এ কারনে মাদকের অনেক প্রভাব রয়েছে। তবে পুলিশ সীমান্ত ইউনিয়নে মাদক সহ সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বৈঠকের কারনে এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।

মাধবপুরের মানুষ চিরাচরিতভাবে শান্তিপ্রিয় সংস্কৃতিমনা। এখন পুলিশের সাথে বৈঠকের কারনে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। পুলিশের কাজে মানুষের সহযোগীতা বেড়েছে। এতে পুলিশ যে কোন ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে দিকে আন্দিউরা ইউনিয়নের মিরনগর ও বিকেলে পৌরসভার শিবপুর-গুমটিয়া রোডে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকের বক্তব্যে বলেন, অপরাধী ও মাদক পাচারকারীদেরকোন ছাড় নয়। আপনারা শুধু পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, হবিগঞ্জ একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।

এই জেলাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগব্যবস্থা, চিকিৎসা সহ সব দিকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব জেলা বাসির। আমরা পুলিশের জনবল নিয়ে হবিগঞ্জ বাসির জন্য শান্তিপূর্ণ জেলা করতে চাই। এ কাজে জেলা বাসির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জেলায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে নানা চেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মাধবপুরে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

এর কারন হিসেবে সাধারণ মানুষ মনে করছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমানের পরিকল্পিত দিক নির্দেশনায় মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফাঁড়ি পুলিশ ও সমাজের সকল পেশার প্রতিনিদের নিয়ে মাধবপুরে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ, আত্মহত্যার প্ররোচনা সাইবার অপরাধ, সড়ক দূর্ঘটনা, কিশোর অপরাধ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে বৈঠক করে যাচ্চেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ অপরাধ থেকে বিরত থাকছে।

চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, মাধবপুরের বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক। মাদক নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, পুলিশ, রেব সহ দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজ সচেতেনতা প্রয়োজন। নাগরিক সমাজ পাড়া মহল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে পারলে দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাধবপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় উঠান বৈঠকের কারনে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছে। অপরাধের প্রতি ঘৃনার ভাব সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী বলেন, ভৌগলিকপ্রক্রিয়ায় মাধবপুর উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেষা। এ কারনে মাদকের অনেক প্রভাব রয়েছে। তবে পুলিশ সীমান্ত ইউনিয়নে মাদক সহ সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বৈঠকের কারনে এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।

মাধবপুরের মানুষ চিরাচরিতভাবে শান্তিপ্রিয় সংস্কৃতিমনা। এখন পুলিশের সাথে বৈঠকের কারনে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। পুলিশের কাজে মানুষের সহযোগীতা বেড়েছে। এতে পুলিশ যে কোন ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে দিকে আন্দিউরা ইউনিয়নের মিরনগর ও বিকেলে পৌরসভার শিবপুর-গুমটিয়া রোডে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকের বক্তব্যে বলেন, অপরাধী ও মাদক পাচারকারীদেরকোন ছাড় নয়। আপনারা শুধু পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, হবিগঞ্জ একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।

এই জেলাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগব্যবস্থা, চিকিৎসা সহ সব দিকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব জেলা বাসির। আমরা পুলিশের জনবল নিয়ে হবিগঞ্জ বাসির জন্য শান্তিপূর্ণ জেলা করতে চাই। এ কাজে জেলা বাসির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।