ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কৃষক লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম গ্রেফতার Logo “অন্যায়ের প্রতিবাদে হামলার শিকার জামালপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতিকসহ ৪ জন” Logo বিএনপির তারুণ্যের মহাসমাবেশ যোগ দিয়ে যা বললেন তামিম ইকবাল খান

‘হাসিনা পালাইছে’ শুনে যা করেছিলেন বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সিরিয়ালে তার অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। বাঁধন তার অভিনয় ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে সফলভাবে প্রমাণ করেছেন এবং তার অভিনীত কাজগুলো দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাঁধন জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময়ের এক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে এ খবর শোনার পরই তিনি রাস্তায় জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে রিকশা করে পুরো ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেন, উনি পালাইছে পালাইছে করতে করতে আড়াইটার সময় আমি বনানী পর্যন্ত গেছি। তখন বলছে, ‘পালাইছে, পালাইছে’। তখন আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা ছিল, সেটা গায়ে জড়িয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরেছি পুরো ঢাকা শহর।

এই অভিনেত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা নিপীড়নের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম, নিরীহ ছাত্রদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব হয়নি। আমি একজন শিল্পী, ডাক্তার, মা-সবকিছুর আগে আমি একজন নাগরিক, একজন মানুষ। তাই সিদ্ধান্ত নিই মাঠে নামব।

তিনি জানান, ২৬-২৭ জুলাইয়ের দিকেই তারা মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১ আগস্ট রাস্তায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তখন তো কেউ জানত না ৫ আগস্টে কী হবে। আমরা রাষ্ট্রের অন্যায় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, এটা ছিল অনেক বড় রিস্ক। অনেক বাধা এসেছে আমাদের পথে।

আন্দোলনের প্রতিদিনই রাস্তায় ছিলেন বাঁধন। বলেন, ছাত্রদের কাছ থেকেই আমি শিখেছি কীভাবে ভয়হীন হতে হয়, কীভাবে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। ভয় ছিল, কিন্তু এক ধরনের আনন্দও ছিল। যারা আন্দোলনে ছিল না, তারা ওই পজিটিভ ভাইবটা বুঝবে না।

বাঁধন জানান, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা সবাই দেশকে ভালোবেসেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাই চায় স্বৈরাচার মুক্ত একটি বাংলাদেশ। সেই ইচ্ছা থেকেই সবাই রাস্তায় নেমেছেন।

সরকার গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে আশাবাদ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, শুধু প্রশাসনিক সংস্কার নয়, মানসিক সংস্কারও জরুরি। ব্যক্তি পর্যায়ে সৎ, ন্যায়বান ও দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ে উঠলে তার প্রভাব সমাজের প্রতিটি খাতে পড়বে।

আন্দোলনের পরে সময়টা ছিল অস্থির ও ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেন বাঁধন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক দূর এসেছি। সামনে আরও সুন্দর, আরও মসৃণ পথ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম

error:

‘হাসিনা পালাইছে’ শুনে যা করেছিলেন বাঁধন

আপডেট সময় ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

আজমেরী হক বাঁধন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সিরিয়ালে তার অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। বাঁধন তার অভিনয় ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে সফলভাবে প্রমাণ করেছেন এবং তার অভিনীত কাজগুলো দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাঁধন জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময়ের এক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে এ খবর শোনার পরই তিনি রাস্তায় জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে রিকশা করে পুরো ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে বাঁধন বলেন, উনি পালাইছে পালাইছে করতে করতে আড়াইটার সময় আমি বনানী পর্যন্ত গেছি। তখন বলছে, ‘পালাইছে, পালাইছে’। তখন আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা ছিল, সেটা গায়ে জড়িয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরেছি পুরো ঢাকা শহর।

এই অভিনেত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা নিপীড়নের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম, নিরীহ ছাত্রদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব হয়নি। আমি একজন শিল্পী, ডাক্তার, মা-সবকিছুর আগে আমি একজন নাগরিক, একজন মানুষ। তাই সিদ্ধান্ত নিই মাঠে নামব।

তিনি জানান, ২৬-২৭ জুলাইয়ের দিকেই তারা মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১ আগস্ট রাস্তায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তখন তো কেউ জানত না ৫ আগস্টে কী হবে। আমরা রাষ্ট্রের অন্যায় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, এটা ছিল অনেক বড় রিস্ক। অনেক বাধা এসেছে আমাদের পথে।

আন্দোলনের প্রতিদিনই রাস্তায় ছিলেন বাঁধন। বলেন, ছাত্রদের কাছ থেকেই আমি শিখেছি কীভাবে ভয়হীন হতে হয়, কীভাবে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। ভয় ছিল, কিন্তু এক ধরনের আনন্দও ছিল। যারা আন্দোলনে ছিল না, তারা ওই পজিটিভ ভাইবটা বুঝবে না।

বাঁধন জানান, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা সবাই দেশকে ভালোবেসেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাই চায় স্বৈরাচার মুক্ত একটি বাংলাদেশ। সেই ইচ্ছা থেকেই সবাই রাস্তায় নেমেছেন।

সরকার গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে আশাবাদ প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, শুধু প্রশাসনিক সংস্কার নয়, মানসিক সংস্কারও জরুরি। ব্যক্তি পর্যায়ে সৎ, ন্যায়বান ও দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ে উঠলে তার প্রভাব সমাজের প্রতিটি খাতে পড়বে।

আন্দোলনের পরে সময়টা ছিল অস্থির ও ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেন বাঁধন। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক দূর এসেছি। সামনে আরও সুন্দর, আরও মসৃণ পথ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।