
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সীমান্ত অঞ্চলে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)। পূজামণ্ডপগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গঠন করেছে বাহিনী।
মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল-উস-সামাদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, মানবপাচার ও মাদক নিয়ন্ত্রণসহ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।
সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা পূজামণ্ডপগুলোকে বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২২টি, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ১৮টি এবং মাধবপুর উপজেলায় ২০টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। ব্যাটালিয়নের ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আরও একটি পূজামণ্ডপ নিরাপত্তা কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমানে ১২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল টহল, অতিরিক্ত টহল, ড্রোন নজরদারি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানান তিনি।
সোহেল-উস-সামাদ আরও বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সম্পাদক বিজিবির টহল দলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখছেন। একই সঙ্গে গুজব, বিভ্রান্তি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, “৫৫ বিজিবি সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো নিরাপত্তা পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
পূজা চলাকালীন সময়ে যদি কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কার্যকলাপ চোখে পড়ে, তবে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৫৫ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ বিন কাশেম এবং থানার ওসি মো. শহীদ উল্ল্যাহ।
বাংলার খবর ডেস্ক : 






















