ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার Logo ছাগল চুরি করে বিক্রির সময় নবীগঞ্জে দুই চোর আটক Logo বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo মাধবপুরে তিনটি অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক সিলগালা Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার মালামাল ও যানবাহন জব্দ Logo লাখাইয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo লাখাইয়ে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের উপর দফায় দফায় হামলা ঘর বাড়ি ভাঙচুরও লুটপাট Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর আজ রাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি Logo জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে তদন্ত সংস্থা

হবিগঞ্জের সাবেক এমপি, এসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের নামে ট্রাইব্যুনালে আরেক অভিযোগ

বাংলার খবর ডেস্কঃ
সাবেক তিন সংসদ সদস্য, তিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুই মেয়র ও সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩১ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলা সদরে রাজনগর এলাকার ফজল মোহাম্মদের ছেলে ছাত্রআন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদ গত সোমবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে একজন নিহত ও শতাধিক লোককে আহত করেন।

হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক তিন এমপি- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আবু জাহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

এ অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ তদন্তপূর্বক বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান বাদী।
আরও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, মুশফিউল আলম আজাদ ও মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও আতাউর রহমান সেলিম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দীন, সাবেক এমপি আবু জাহিরের সরকারি দেহরক্ষী (পুলিশ কনস্টেবল) মাহবুব আহমেদ, ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) সুদীপ দাস, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চানপুর গ্রামের আব্দুল মালেক, গোপায়া আনন্দপুরের মোঃ আকবর আলী, তাঁর ভাই আলী হোসেন রহমান সাহেদ, সদর উপজেলায় বালিহাটা গ্রামের আবদুল হাই, উমেদনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা অমিয় রায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিমুল পাল, যশের আন্দার মাখন পাল, বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্ৰ গোপ, উমেদনগরের আলোচিত যুবলীগ নেতা সবুজ মিয়া, জেলা তথ্য প্রযুক্তি লীগ সভাপতি আবুল কাশেম, বাবুল রাউত ওরফে পাট্টা বাবুলের ছেলে কৃষ্ণ রাউত, তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সেবুল মিয়া, মোঃ সফর আলী, মাধবপুর উপজেলায় আলাকপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম, একই উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের কাজী পলাশ ও হবিগঞ্জ শহরে রাজনগরের আওয়ামী লীগ নেতা সাকী শাহসহ ১০০ জন।

অভিযোগকারী সালেহ আহমেদ জানান, মোঃ আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান ১ জুন এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ৪ আগস্ট উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালিয়েছেন। এতে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ০২ ও ০৪ আগস্ট হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোস্তাক আহমেদ ও রিপন শীল নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের সাবেক এমপি, এসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের নামে ট্রাইব্যুনালে আরেক অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:২২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ
সাবেক তিন সংসদ সদস্য, তিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দুই মেয়র ও সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩১ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলা সদরে রাজনগর এলাকার ফজল মোহাম্মদের ছেলে ছাত্রআন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদ গত সোমবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে একজন নিহত ও শতাধিক লোককে আহত করেন।

হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক তিন এমপি- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আবু জাহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন

এ অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ তদন্তপূর্বক বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান বাদী।
আরও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, মুশফিউল আলম আজাদ ও মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও আতাউর রহমান সেলিম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দীন, সাবেক এমপি আবু জাহিরের সরকারি দেহরক্ষী (পুলিশ কনস্টেবল) মাহবুব আহমেদ, ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) সুদীপ দাস, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চানপুর গ্রামের আব্দুল মালেক, গোপায়া আনন্দপুরের মোঃ আকবর আলী, তাঁর ভাই আলী হোসেন রহমান সাহেদ, সদর উপজেলায় বালিহাটা গ্রামের আবদুল হাই, উমেদনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা অমিয় রায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শিমুল পাল, যশের আন্দার মাখন পাল, বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্ৰ গোপ, উমেদনগরের আলোচিত যুবলীগ নেতা সবুজ মিয়া, জেলা তথ্য প্রযুক্তি লীগ সভাপতি আবুল কাশেম, বাবুল রাউত ওরফে পাট্টা বাবুলের ছেলে কৃষ্ণ রাউত, তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সেবুল মিয়া, মোঃ সফর আলী, মাধবপুর উপজেলায় আলাকপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম, একই উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের কাজী পলাশ ও হবিগঞ্জ শহরে রাজনগরের আওয়ামী লীগ নেতা সাকী শাহসহ ১০০ জন।

অভিযোগকারী সালেহ আহমেদ জানান, মোঃ আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান ১ জুন এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ৪ আগস্ট উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালিয়েছেন। এতে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ০২ ও ০৪ আগস্ট হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোস্তাক আহমেদ ও রিপন শীল নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে।