
বাংলার খবর ডেস্ক
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নুর বৈধতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা এখনও স্বপদে বহাল রয়েছি, আমাদের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও বহাল আছেন। শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মহাসচিব পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জিএম কাদের যেই প্রেসিডিয়াম বৈঠকের রেফারেন্স দিয়ে দলীয় নেতাদের বহিষ্কার করেছেন, সেই বৈঠকে কোনো কোরাম ছিল না এবং তা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/৩(খ) ধারা অনুযায়ী, মহাসচিবের পরামর্শে ও আলোচনায় প্রেসিডিয়াম সভা ডাকার কথা বলা হয়েছে। অথচ এই নিয়ম অনুসরণ না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আনিসুল।
তিনি আরও বলেন, “পার্টির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রবিরোধী কিছুই আমরা করিনি। আমরা কেবল দলের স্বচ্ছতা, ২০(ক) ধারা বাতিল এবং বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি।”
জিএম কাদেরের নেতৃত্বকে একনায়কতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “এরশাদের অসুস্থতা চলাকালীন জোর করে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জিএম কাদের দলে স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করেন। এখন একে একে সবাইকে বহিষ্কার করছেন, যার ফলে জাতীয় পার্টি ক্রমেই ছোট হতে হতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে।”
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করলে ভবিষ্যতে দল অনেক ভালো করতে পারবে। জিএম কাদের সবাইকে বাদ দিয়ে পার্টিকে দুর্বল করে ফেলেছেন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া এবং মো. আরিফুর রহমান খান।