
বাংলার খবর ডেস্ক
সরাইলের শাহবাজপুর এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিশু ময়নার জানাজায় মানুষের ঢল নামে। সোমবার বাদ আসর শাহবাজপুর খেলার মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী পিতা আব্দুর রাজ্জাক বাহরাইন থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বিলম্বে জানাজা সম্পন্ন হয়। উপস্থিত সহস্রাধিক মানুষের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে বেদনার ভার।
ময়নার পিতা আব্দুর রাজ্জাক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার কলিজার টুকরা বুকের ধন যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ বিচার চাই। এমন জঘন্য অপরাধীরা যেন কোনোভাবে রেহাই না পায়। তাদের ফাঁসি হলে আমার ময়নার আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।”
ময়নার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোসা. লায়লা বেগম বলেন, “ময়না ছিল মেধাবী ছাত্রী। আমি তাকে বৃত্তির জন্য প্রস্তুত করছিলাম। একটি মেধাবী শিশুকে যদি এমন নৃশংসতার শিকার হতে হয়, তবে দেশ একদিন মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।”
এ ঘটনায় অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে—বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে গিয়েছিল কিনা, সন্ধ্যার পর বাইরে কেন গিয়েছিল, এসব বিষয়ে সন্তানদের প্রতি নজরদারির অভাব কতটা?
এদিকে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জোরালোভাবে তদন্তে কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত অপরাধী শনাক্ত হয়ে আইনের আওতায় আসবে।”