ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মসজিদের দোতলা থেকে শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা যৌন নির্যাতনের পর হত্যা Logo মাধবপুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক Logo বিশেষ ফ্লাইটে ২০০ জনকে সীমান্তে পাঠাল ভারত, পুশইন প্রক্রিয়া শুরু Logo এসআই সেজে থানায় তরুণী, সন্দেহে ধরা খেলেন কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে Logo মাধবপুরে যুবকের আত্মহত্যা Logo শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্যহাতির মৃত্যু Logo মাধবপুরে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে নতুন ব্যবস্থাপক, শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তির হাওয়া Logo আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়ে, চিটাগাং ক্লাবে বিক্ষোভে উত্তাল ছাত্র আন্দোলন Logo মাধবপুরে ১০৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার Logo হবিগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টে বাহুবল উপজেলা চ্যাম্পিয়ন

“সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?”

একজন সাংবাদিক যদি রাজনীতিবিদ হন, অথবা একজন রাজনীতিবিদ যদি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হন, তবে তাদের সংবাদ বা প্রতিবেদনগুলো কখনোই পুরোপুরি নিরপেক্ষ হতে পারে না। এমনকি একজন সাংবাদিক যদি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে নিজেকে সেভাবে বিচ্ছিন্ন রাখতে চান, তাও তাঁর লেখা বা প্রতিবেদন অন্যদের কাছে প্রভাবিত হতে পারে।

কেন নিরপেক্ষতা সম্ভব নয়?

*রাজনৈতিক পক্ষ নেওয়া:*
রাজনীতিবিদরা তাদের দলীয় ভাবনাচিন্তা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করেন। তাদের লক্ষ্য থাকে দলের সাফল্য অর্জন এবং বিরোধীদের দুর্বলতা তুলে ধরা। যদি একজন রাজনীতিবিদ সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত হন, তবে তার রচনাগুলো এভাবেই প্রভাবিত হতে পারে, যা সংবাদটির নিরপেক্ষতা নষ্ট করে।

সাংবাদিকের রাজনৈতিক পরিচয়:
একদিকে যেমন একজন সাংবাদিকের কাজ হল সমাজের প্রতিটি দিক থেকে তথ্য তুলে ধরা, অন্যদিকে রাজনীতিবিদরা দলের আদর্শ, লক্ষ্য ও মতবাদকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেন। ফলে যখন সাংবাদিকতা ও রাজনীতি একসাথে মিশে যায়, তখন রিপোর্টিং-এর স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে।

জনগণের বিশ্বাস:
সংবাদ মাধ্যমের মূল কাজ হলো জনগণকে সঠিক তথ্য প্রদান করা, যাতে তারা তাদের মতামত গঠন করতে পারে। কিন্তু যখন সাংবাদিকরা রাজনীতির সাথে যুক্ত হন, তখন জনগণের কাছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি বিশ্বাস কমে যেতে পারে, কারণ তারা মনে করতে পারে যে প্রতিবেদনের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

বিচারবোধের অভাব:
রাজনীতিবিদদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন রাজনীতিবিদ সাংবাদিক হন, তখন তাদের শত্রু পক্ষের প্রতি এক ধরনের অগ্রিম ধারণা থাকতে পারে। যার ফলে, তাদের প্রতিবেদনগুলো হয়ত বিচারবুদ্ধি ও সঠিক তথ্য থেকে বিচ্যুত হতে পারে।

সর্বশেষ কথা

সাংবাদিকতা ও রাজনীতি দুটি আলাদা বিষয়। সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং জনগণকে অবহিত করা, যেখানে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা পক্ষ নির্বাচন শোভন নয়। যখন সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ একসাথে মিশে যান, তখন সংবাদে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতার অভাব দেখা দেয়। তাই একে অপর থেকে আলাদা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে জনগণ সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য পেতে পারেন।

এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হ’ল সবার জন্য সঠিক, প্রামাণিক তথ্য উপস্থাপন করা, যার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

মসজিদের দোতলা থেকে শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা যৌন নির্যাতনের পর হত্যা

error:

“সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?”

আপডেট সময় ০২:৩৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

একজন সাংবাদিক যদি রাজনীতিবিদ হন, অথবা একজন রাজনীতিবিদ যদি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হন, তবে তাদের সংবাদ বা প্রতিবেদনগুলো কখনোই পুরোপুরি নিরপেক্ষ হতে পারে না। এমনকি একজন সাংবাদিক যদি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে নিজেকে সেভাবে বিচ্ছিন্ন রাখতে চান, তাও তাঁর লেখা বা প্রতিবেদন অন্যদের কাছে প্রভাবিত হতে পারে।

কেন নিরপেক্ষতা সম্ভব নয়?

*রাজনৈতিক পক্ষ নেওয়া:*
রাজনীতিবিদরা তাদের দলীয় ভাবনাচিন্তা ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করেন। তাদের লক্ষ্য থাকে দলের সাফল্য অর্জন এবং বিরোধীদের দুর্বলতা তুলে ধরা। যদি একজন রাজনীতিবিদ সাংবাদিকতার পেশায় যুক্ত হন, তবে তার রচনাগুলো এভাবেই প্রভাবিত হতে পারে, যা সংবাদটির নিরপেক্ষতা নষ্ট করে।

সাংবাদিকের রাজনৈতিক পরিচয়:
একদিকে যেমন একজন সাংবাদিকের কাজ হল সমাজের প্রতিটি দিক থেকে তথ্য তুলে ধরা, অন্যদিকে রাজনীতিবিদরা দলের আদর্শ, লক্ষ্য ও মতবাদকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেন। ফলে যখন সাংবাদিকতা ও রাজনীতি একসাথে মিশে যায়, তখন রিপোর্টিং-এর স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়ে।

জনগণের বিশ্বাস:
সংবাদ মাধ্যমের মূল কাজ হলো জনগণকে সঠিক তথ্য প্রদান করা, যাতে তারা তাদের মতামত গঠন করতে পারে। কিন্তু যখন সাংবাদিকরা রাজনীতির সাথে যুক্ত হন, তখন জনগণের কাছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি বিশ্বাস কমে যেতে পারে, কারণ তারা মনে করতে পারে যে প্রতিবেদনের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

বিচারবোধের অভাব:
রাজনীতিবিদদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন রাজনীতিবিদ সাংবাদিক হন, তখন তাদের শত্রু পক্ষের প্রতি এক ধরনের অগ্রিম ধারণা থাকতে পারে। যার ফলে, তাদের প্রতিবেদনগুলো হয়ত বিচারবুদ্ধি ও সঠিক তথ্য থেকে বিচ্যুত হতে পারে।

সর্বশেষ কথা

সাংবাদিকতা ও রাজনীতি দুটি আলাদা বিষয়। সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং জনগণকে অবহিত করা, যেখানে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা পক্ষ নির্বাচন শোভন নয়। যখন সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ একসাথে মিশে যান, তখন সংবাদে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতার অভাব দেখা দেয়। তাই একে অপর থেকে আলাদা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে জনগণ সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য পেতে পারেন।

এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হ’ল সবার জন্য সঠিক, প্রামাণিক তথ্য উপস্থাপন করা, যার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।