ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo নবীগঞ্জে শিশু পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন Logo নির্ধারিত সরকারি ফি ছাড়া বেশি নিলে পরদিন সচিবকে বদলি- নবীগঞ্জে জেলা প্রশাসক Logo মাধবপুরে লুটপাট-ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামী বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ১৬ বছর পর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন ২০ আগস্ট Logo জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাহুবলে র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মাধবপুরে সংবাদ সম্মেলন Logo মাধবপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও স্যাম্পল ওষুধ বিক্রির দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা Logo পুলিশের ভিন্ন অভিযানে লাখাইয়ে ৩ আসামি গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় লাখাইয়ের যুবক নিহত

মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার অপমান সইতে পারেননি চট্টগ্রামের এএসপি পলাশ সাহা, আত্মহত্যা!

বেদনাদায়ক ঘটনা:
চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা ৭ মে ২০২৫ তারিখে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার ঘটনা, যা তিনি সহ্য করতে পারেননি। আত্মঘাতী এই পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ সাহার বড় ভাই নন্দ লাল সাহা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক ঝামেলা চলত এবং এই অপমানের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

ঘটনার বিস্তারিত:
পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা তার মায়ের গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তার স্ত্রী সুস্মিতা সব সময় মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন, যা পলাশের কাছে ছিল অস্বস্তিকর। এই ঘটনা ছিল তার জীবনের শেষ straw, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

চিরকুটে লেখা:
পলাশ সাহা একটি চিরকুট রেখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখে গেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য মা বা বউ কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী।” তিনি তার স্ত্রীকে সকল স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তার মায়ের দায়িত্ব তার দুই ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দেন।

জীবন ও কর্ম:
৩৭ বছর বয়সী পলাশ সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার পর তিনি র‍্যাব-৭ এর সাথে যুক্ত হন।

মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিত:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে র‍্যাব-৭-এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অফিস রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

এদিকে, চিকিৎসকরা পলাশ সাহার মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছেন, তবে গুলির আঘাতের বিষয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এই বেদনাদায়ক ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পলাশ সাহার মৃত্যুতে পুলিশ বিভাগের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

লাখাইয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

error:

মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার অপমান সইতে পারেননি চট্টগ্রামের এএসপি পলাশ সাহা, আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৯:০১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

বেদনাদায়ক ঘটনা:
চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা ৭ মে ২০২৫ তারিখে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার ঘটনা, যা তিনি সহ্য করতে পারেননি। আত্মঘাতী এই পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ সাহার বড় ভাই নন্দ লাল সাহা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক ঝামেলা চলত এবং এই অপমানের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

ঘটনার বিস্তারিত:
পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা তার মায়ের গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তার স্ত্রী সুস্মিতা সব সময় মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন, যা পলাশের কাছে ছিল অস্বস্তিকর। এই ঘটনা ছিল তার জীবনের শেষ straw, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

চিরকুটে লেখা:
পলাশ সাহা একটি চিরকুট রেখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখে গেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য মা বা বউ কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী।” তিনি তার স্ত্রীকে সকল স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তার মায়ের দায়িত্ব তার দুই ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দেন।

জীবন ও কর্ম:
৩৭ বছর বয়সী পলাশ সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার পর তিনি র‍্যাব-৭ এর সাথে যুক্ত হন।

মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিত:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে র‍্যাব-৭-এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অফিস রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

এদিকে, চিকিৎসকরা পলাশ সাহার মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছেন, তবে গুলির আঘাতের বিষয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এই বেদনাদায়ক ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পলাশ সাহার মৃত্যুতে পুলিশ বিভাগের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।