ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা! Logo স্বাধীনতার ঘোষণা’ দিয়েছে বেলুচিস্তান Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি কমিটি অনুমোদন ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামলকে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সম্পাদক Logo বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সেটা তো বিএনপির বক্তব্যের বিষয় নয় Logo অধিকার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সচেতনতা বাড়ানো এবং দলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি Logo নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo মৌলভীবাজারে জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের পথসভা অনুষ্টিত Logo হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল তরুণ Logo রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। Logo আজ রাতেই আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা হবে বলে হুঁশিয়ারি-সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার অপমান সইতে পারেননি চট্টগ্রামের এএসপি পলাশ সাহা, আত্মহত্যা!

বেদনাদায়ক ঘটনা:
চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা ৭ মে ২০২৫ তারিখে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার ঘটনা, যা তিনি সহ্য করতে পারেননি। আত্মঘাতী এই পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ সাহার বড় ভাই নন্দ লাল সাহা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক ঝামেলা চলত এবং এই অপমানের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

ঘটনার বিস্তারিত:
পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা তার মায়ের গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তার স্ত্রী সুস্মিতা সব সময় মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন, যা পলাশের কাছে ছিল অস্বস্তিকর। এই ঘটনা ছিল তার জীবনের শেষ straw, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

চিরকুটে লেখা:
পলাশ সাহা একটি চিরকুট রেখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখে গেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য মা বা বউ কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী।” তিনি তার স্ত্রীকে সকল স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তার মায়ের দায়িত্ব তার দুই ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দেন।

জীবন ও কর্ম:
৩৭ বছর বয়সী পলাশ সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার পর তিনি র‍্যাব-৭ এর সাথে যুক্ত হন।

মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিত:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে র‍্যাব-৭-এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অফিস রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

এদিকে, চিকিৎসকরা পলাশ সাহার মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছেন, তবে গুলির আঘাতের বিষয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এই বেদনাদায়ক ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পলাশ সাহার মৃত্যুতে পুলিশ বিভাগের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Khabor

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা!

Don`t copy text!

মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার অপমান সইতে পারেননি চট্টগ্রামের এএসপি পলাশ সাহা, আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৯:০১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

বেদনাদায়ক ঘটনা:
চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহা ৭ মে ২০২৫ তারিখে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মায়ের গায়ে স্ত্রীর হাত তোলার ঘটনা, যা তিনি সহ্য করতে পারেননি। আত্মঘাতী এই পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ সাহার বড় ভাই নন্দ লাল সাহা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক ঝামেলা চলত এবং এই অপমানের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

ঘটনার বিস্তারিত:
পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা তার মায়ের গায়ে হাত তোলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। তার স্ত্রী সুস্মিতা সব সময় মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন, যা পলাশের কাছে ছিল অস্বস্তিকর। এই ঘটনা ছিল তার জীবনের শেষ straw, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

চিরকুটে লেখা:
পলাশ সাহা একটি চিরকুট রেখে গেছেন, যেখানে তিনি লিখে গেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য মা বা বউ কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী।” তিনি তার স্ত্রীকে সকল স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তার মায়ের দায়িত্ব তার দুই ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দেন।

জীবন ও কর্ম:
৩৭ বছর বয়সী পলাশ সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার পর তিনি র‍্যাব-৭ এর সাথে যুক্ত হন।

মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিত:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে র‍্যাব-৭-এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অফিস রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।

এদিকে, চিকিৎসকরা পলাশ সাহার মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছেন, তবে গুলির আঘাতের বিষয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

এই বেদনাদায়ক ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পলাশ সাহার মৃত্যুতে পুলিশ বিভাগের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।