
বাংলার খবর প্রতিনিধি, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ):
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পিন্টু চন্দ্র দেব (৩০) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কেলি কানাইপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত পিন্টু চন্দ্র দেব ওই গ্রামের সুকুমার দেবের ছেলে।
জানা গেছে, নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের পাশে অবস্থিত ডা. ইমরান আহমেদের বাসার পেছনে একটি নির্মাণাধীন বাংলো ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেন। দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে স্থানীয়রা একটি ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘরের তীরের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, কোনো ব্যক্তিগত মানসিক চাপ বা পারিবারিক সমস্যার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ঘটনার পরপরই নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল আহমেদ, এসআই আনিসুল ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এদিকে হঠাৎ করেই পিন্টুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে ছিল ভালো সম্পর্ক ও জনপ্রিয়তা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
উল্লেখ্য, আত্মহত্যা একটি মানসিক সমস্যা, যার প্রতিকার সম্ভব সময়মতো সহানুভূতি ও মানসিক সহায়তা পেলে। এমন ঘটনায় কাউকে দোষ না দিয়ে, সমাজের সকলকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।