
নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ জন্য তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। একই সঙ্গে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশেই মুগ্ধর নামে বিভিন্ন স্থাপনার নাম করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একটি সড়কের নামকরণ করার কথা বলা হয়েছিল। ওই সড়কটি শহীদ ওমরের নামে করার জন্য আমি প্রস্তাব করেছি। শহরের ফ্লাইভ ওভারটি মুগ্ধর নামে করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছি।
বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় একটি মুগ্ধ চত্বর হবে। এভাবেই নামের মাধ্যমে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। এ জন্য সাংবাদিকরা সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কোনো সহযোগিতা লাগলেও আমাকে বলবেন।
উপস্থিত পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে সেগুলো আপনারা দেখবেন। আমি চাই প্রকৃত যারা দোষী তাদের বিচার হোক।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মুগ্ধ পানি বিলানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার সময় মুগ্ধর নামে পানির কর্নার হয়েছিল।
এমন সব উদ্যোগ আমার ছেলেকে নামের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখবে। কোনো সুযোগ হলে এমন সব উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়।’
গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে প্রাণ হারান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ঘটনার পরপরই একটি ভিডিওতে দেখা যায় পানি নিয়ে হাঁটছে মুগ্ধ। বলছেন, ‘পানি লাগবে কারো পানি।’ এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মুগ্ধ। সংসারে তিন ভাইয়ের মধ্যে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ যমজ। মুগ্ধর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ায়। তবে তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার উত্তরায়।