ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অপমানবোধ করছেন’, সরে যেতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনকালে তিনি ‘অপমানবোধ’ করছেন এবং নির্বাচন সম্পন্ন হলেই তিনি বিদায় নিতে চান।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন—‘আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থাকায় আমি এ অবস্থানে আছি।’

২০২৪ সালের জুলাই মাসের আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অবস্থান জাতীয় প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব পায়। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তিনিই ছিলেন শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও রাষ্ট্রপতির পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের হাতে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন। এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না আওয়ামী লীগ।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
error:

‘অপমানবোধ করছেন’, সরে যেতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন

আপডেট সময় ১১:০০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনকালে তিনি ‘অপমানবোধ’ করছেন এবং নির্বাচন সম্পন্ন হলেই তিনি বিদায় নিতে চান।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন—‘আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থাকায় আমি এ অবস্থানে আছি।’

২০২৪ সালের জুলাই মাসের আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অবস্থান জাতীয় প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব পায়। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তিনিই ছিলেন শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও রাষ্ট্রপতির পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের হাতে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন। এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না আওয়ামী লীগ।