ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে ১০৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার Logo হবিগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টে বাহুবল উপজেলা চ্যাম্পিয়ন Logo মাধবপুরে মসজিদের উন্নয়ন কাজে স্বচ্ছতা গ্রুপের অর্থ সহায়তা Logo ১ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন সাইফউদ্দিন Logo নুর-রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ Logo প্রেস সচিবের তীব্র প্রতিক্রিয়া: “মিথ্যাচারের উৎস হয়ে উঠেছেন গোলাম মাওলা রনি” Logo রেজা কিবরিয়া: ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে চিনবেই না’ Logo মাধবপুরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo কুমিল্লায় মা ও দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা, ২৪ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি Logo এনটিভির ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে শেরপুরে কেক কাটা ও আলোচনা সভা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানী মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার (৬ মে)।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে গত ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের করা আপিল মঞ্জুর করে ওই রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, শুধুমাত্র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিদের সাজা দেওয়া যায় না। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্রও প্রমাণ করা যায় না। দ্বিতীয় চার্জশিট আমরা আমলে নিতে পারছি না। কারণ এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটের ক্ষেত্রে ১৯১বি প্রযোজ্য হয়নি। দ্বিতীয় চার্জশিট আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সেটা শুধুমাত্র মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল।

লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

রায়ের পর আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও জবানবন্দির বাইরে অন্য কোনো তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় চার্জশিটে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ, যাদের আনা হয়েছিল তাদের বিষয়েও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। আর দুই জবানবন্দিই মুফতি হান্নান জীবদ্দশায় প্রত্যাহার করে গেছেন। ফলে প্রত্যাহার করা জবানবন্দি ও পরবর্তীতে আর কোনো প্রমাণ না থাকায় সাজা দেওয়া যায় না। এমনকি যে আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন, বেঁচে থাকলে তাকেও সাজা দেওয়া যেত না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা–কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।

অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। ২০২২ সালে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় তা শেষ করা যায়নি। এ জন্য নতুন করে আবার শুনানি হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

মাধবপুরে ১০৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

error:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানী মঙ্গলবার

আপডেট সময় ০১:৪১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার (৬ মে)।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে গত ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে ও আসামিদের করা আপিল মঞ্জুর করে ওই রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, শুধুমাত্র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অন্য আসামিদের সাজা দেওয়া যায় না। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্রও প্রমাণ করা যায় না। দ্বিতীয় চার্জশিট আমরা আমলে নিতে পারছি না। কারণ এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটের ক্ষেত্রে ১৯১বি প্রযোজ্য হয়নি। দ্বিতীয় চার্জশিট আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সেটা শুধুমাত্র মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল।

লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

রায়ের পর আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও জবানবন্দির বাইরে অন্য কোনো তথ্য–প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় চার্জশিটে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ, যাদের আনা হয়েছিল তাদের বিষয়েও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। আর দুই জবানবন্দিই মুফতি হান্নান জীবদ্দশায় প্রত্যাহার করে গেছেন। ফলে প্রত্যাহার করা জবানবন্দি ও পরবর্তীতে আর কোনো প্রমাণ না থাকায় সাজা দেওয়া যায় না। এমনকি যে আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন, বেঁচে থাকলে তাকেও সাজা দেওয়া যেত না।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে দলটির ২৪ নেতা–কর্মী নিহত হয়। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।

অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। ২০২২ সালে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় তা শেষ করা যায়নি। এ জন্য নতুন করে আবার শুনানি হয়।