ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান

মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের পিতার চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সোহান

মৌলভীবাজারে অতর্কিত হামলা করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতার ডান চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সাহেল ইসলাম সোহান ও তার মা হালিমা বেগম। বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মাহফুজুর রহমান মবারক মিয়ার ডান চোখে দেখতে পারছেন না বাম চোখের ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।

জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম এর সহ-সভাপতি তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মবারক এর উপর পরিকল্পিত হামলা করে তার আপন ভাতিজা সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান ও তার মা হালিমা ইসলাম। অতর্কিত হামলায় মবারক মিয়া’র মুখ, চোখ ও নাকে গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দজবালী গ্রামে ১২ এপ্রিল সকালে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর মাতা রত্না বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন, সামছুল ইসলাম, হালিমা ইসলাম ও সাহেল ইসলাম সোহান। আহত মাহফুজুর রহমান মবারক ব্যবসার জন্য পরিবার নিয়ে মৌলভীবাজার পৌর শহরে থাকতেন।

মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, হামলাকারী সাহেল ইসলাম সোহান আহত মবারক মিয়ার আপন ভাতিজা। দীর্ঘ দিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন আহত মাহফুজুর রহমান মবারক বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের তালা খোলা এবং হামলাকারীদের আসবাবপত্র তার ঘরে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে ভাতিজা সোহান অতর্কিত হামলা করে। মবারক মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম আহমদ বলেন, ‌‘ঘটনার দিন মবারক মিয়া বাড়িতে এসে দেখেন তার অংশে ভাতিজা সোহান ও তার পরিবারের সদস্যরা আসবাবপত্র রাখছেন। সরানোর কথা বললেই হামলা করা হয়। সোহান একটি রাফ ছেলে। গত কয়েকদিন আগে সে জুগিডহর মারামারি করেছে। সে কিশোর গ্যাং এর সাথে সম্পৃক্ত। তানাহলে চাচাকে এভাবে মারতে পারেনা। এ ছেলেটা এলাকায় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সোহান ও তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

লিটন বিন ইসলাম। বার্তা সম্পাদক- বাংলার খবর২৪ সবার আগে সব খবর পেতে বাংলার খবরের সাথেই থাকুন।।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’

মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের পিতার চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সোহান

আপডেট সময় ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারে অতর্কিত হামলা করে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতার ডান চোখ নষ্ট করে দিল কিশোর গ্যাং সাহেল ইসলাম সোহান ও তার মা হালিমা বেগম। বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মাহফুজুর রহমান মবারক মিয়ার ডান চোখে দেখতে পারছেন না বাম চোখের ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।

জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও ক্যাম্পেইন ফর মিডিয়া ফ্রিডম এর সহ-সভাপতি তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর পিতা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মবারক এর উপর পরিকল্পিত হামলা করে তার আপন ভাতিজা সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান ও তার মা হালিমা ইসলাম। অতর্কিত হামলায় মবারক মিয়া’র মুখ, চোখ ও নাকে গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দজবালী গ্রামে ১২ এপ্রিল সকালে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত সাংবাদিক তানভীর আঞ্জুম আরিফ এর মাতা রত্না বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন, সামছুল ইসলাম, হালিমা ইসলাম ও সাহেল ইসলাম সোহান। আহত মাহফুজুর রহমান মবারক ব্যবসার জন্য পরিবার নিয়ে মৌলভীবাজার পৌর শহরে থাকতেন।

মামলার এজহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, হামলাকারী সাহেল ইসলাম সোহান আহত মবারক মিয়ার আপন ভাতিজা। দীর্ঘ দিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন আহত মাহফুজুর রহমান মবারক বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের তালা খোলা এবং হামলাকারীদের আসবাবপত্র তার ঘরে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে ভাতিজা সোহান অতর্কিত হামলা করে। মবারক মিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম আহমদ বলেন, ‌‘ঘটনার দিন মবারক মিয়া বাড়িতে এসে দেখেন তার অংশে ভাতিজা সোহান ও তার পরিবারের সদস্যরা আসবাবপত্র রাখছেন। সরানোর কথা বললেই হামলা করা হয়। সোহান একটি রাফ ছেলে। গত কয়েকদিন আগে সে জুগিডহর মারামারি করেছে। সে কিশোর গ্যাং এর সাথে সম্পৃক্ত। তানাহলে চাচাকে এভাবে মারতে পারেনা। এ ছেলেটা এলাকায় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সোহান ও তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।