ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগুনে দগ্ধ শিশুদের পাশে মানবতার বাতিঘর ডা. তমালিকা দেব তিথি Logo মাধবপুরে ডোবার কচুরিপানায় গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার: পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা Logo মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে মোবাইল কোর্ট: ২ জনের কারাদণ্ড Logo নোয়াপাড়া ইউনিয়নে প্রাথমিক মেধা বৃত্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত Logo মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে হলদারপুরে দোয়া মাহফিল Logo ঢাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত Logo আর্থিক সহায়তার পোস্ট দিয়ে সরিয়ে নিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং Logo শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আহত ৪০, সচিবালয় উত্তাল Logo শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে শিক্ষা সচিব অপসারণ, জানালেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ Logo বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটের বীরত্ব! প্রাণ বাঁচাতে জনবিরল স্থানে নেওয়ার চেষ্টা

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আগুন, পুড়ল দেড় কিলোমিটারের গাছপালা

বাংলার খবর ডেস্কঃ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কেউ ধূমপান শেষে জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ উদ্যানের ফেলে দেন। পরে শুকনা পাতা থাকায় আগুন ধরে যায়।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ উদ্যানে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলেন। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের নিম্ন ভাগ পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কামাল বাংলার খবর কে বলেন, ‘কারও ফেলা জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে এসে বন থেকে দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি। না হলে পুরো উদ্যানে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নির্ধারণ করা যাবে।’

বন রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত সহব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য দ্বিপন বলেন, ‘কাইয়ূম নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের আগুন লাগার বিষয়টি জানান। আমরা এসে দেখি, চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গাছপালা। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আগুনে মূলত শুকনো পাতা পুড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও কিছু প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে সবার সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বনাঞ্চলের ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর

আগুনে দগ্ধ শিশুদের পাশে মানবতার বাতিঘর ডা. তমালিকা দেব তিথি

error:

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আগুন, পুড়ল দেড় কিলোমিটারের গাছপালা

আপডেট সময় ০৫:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্কঃ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কেউ ধূমপান শেষে জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ উদ্যানের ফেলে দেন। পরে শুকনা পাতা থাকায় আগুন ধরে যায়।

লোগোর উপরে চাপ দিলেই চলে আসবেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে,*

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ উদ্যানে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলেন। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের নিম্ন ভাগ পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কামাল বাংলার খবর কে বলেন, ‘কারও ফেলা জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে এসে বন থেকে দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি। না হলে পুরো উদ্যানে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নির্ধারণ করা যাবে।’

বন রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত সহব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য দ্বিপন বলেন, ‘কাইয়ূম নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের আগুন লাগার বিষয়টি জানান। আমরা এসে দেখি, চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া গাছপালা। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আগুনে মূলত শুকনো পাতা পুড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও কিছু প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে সবার সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বনাঞ্চলের ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।