ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কৃষক লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম গ্রেফতার

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি।

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি।

 

(বাংলার খবর ডেস্ক)

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থানের জানান দিতে দলের তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আছে। এর আগে দ্রুত চূড়ান্ত করতে চায় দলের গঠনতন্ত্র।

একই সঙ্গে দলীয় স্লোগান, ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো ও দলীয় প্রতীক সামনে আনার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় দলটির শীর্ষ নেতারা। দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকে এনসিপির নিবন্ধন নিতেই হবে।

এজন্য দলের গঠনতন্ত্রসহ আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সে লক্ষ্যেই নেতারা কাজ করছেন। আপাতত দলের কোনো সহযোগী সংগঠন করার পরিকল্পনা তাদের নেই। এখন যুব, শ্রমিক, নারী ও ছাত্র উইং করা হতে পারে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নতুন কিংবা পুরোনো সব রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা থাকে জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া। এনসিপি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে উঠে এসেছে।

তাই এ দলের টার্গেট সবগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়া। সেভাবে দলকে এগিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ চলমান। খসড়া প্রস্তুত করার পর তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শেষে চূড়ান্ত হবে গঠনতন্ত্র।

২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলের আত্মপ্রকাশের আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে এখন দ্রুতই গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যেই খসড়া তৈরির কাজে যুক্তদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনাও। এতে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা, পরিবারতন্ত্রের বলয়মুক্ত রাজনীতি, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এ সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে চাই। কারণ নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন করতে গঠনতন্ত্র প্রয়োজন। সেভাবেই আমরা নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। তবে নবগঠিত এ দলের জেলা-উপজেলার কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কী হবে? নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে, নাকি তৃণমূলে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির নাম পরিবর্তন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি করা হবে-তা নিয়ে দলটির ভেতরে আলোচনা চলছে। নেতারা বলছেন,

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের যৌথ উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের ব্যানার। কিন্তু জাতীয় নাগরিক কমিটির নামে পরিবর্তন আসতে পারে। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

এনসিপির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নতুন দলের নিবন্ধনের বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নিতে হবে। এ কারণে নিবন্ধনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আবেদন করার পরিকল্পনার কথা বলছেন নেতারা।

তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হলে দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০ উপজেলা বা ক্ষেত্র অনুযায়ী মেট্রোপলিটন থানা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হতে হলে, দলের গঠনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান স্পষ্টভাবে থাকতে হয়। ফলে দলের নিবন্ধনের আবেদন বিষয়ে শর্ত অনুযায়ী দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করছে এনসিপি।

দল আত্মপ্রকাশ হলেও এখনো নিজেদের দলীয় প্রতীক ঘোষণা করতে পারেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের আগে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে পরিচালিত জনমত জরিপে দলের জন্য বেশ কিছু প্রতীকের প্রস্তাব এসেছে।

এগুলোর মধ্যে আছে বই, খাতা, কলম, মুষ্টিবদ্ধ হাত, কবুতর, শাপলা, ইলিশ, বাঘ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্য থেকে দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে পারেন দলের নেতারা।

এনসিপির কোনো সহযোগী সংগঠন থাকবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রথম পর্যায়ে যুব, শ্রমিক, নারী ও ছাত্র উইং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উইংগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তার নেতৃত্বে এসব উইং কাজ করবে। পরবর্তী সময়ে উইংগুলোই দলের সহযোগী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, সাধারণত দল গঠনের পরই দলীয় গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়। আমরাও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই গঠনতন্ত্র তৈরি কাজ চলছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।

দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা, পরিবারতন্ত্রমুক্ত রাজনীতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত, যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস

error:

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি।

আপডেট সময় ০২:২০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি।

 

(বাংলার খবর ডেস্ক)

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ভোটের মাঠে নিজেদের অবস্থানের জানান দিতে দলের তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আছে। এর আগে দ্রুত চূড়ান্ত করতে চায় দলের গঠনতন্ত্র।

একই সঙ্গে দলীয় স্লোগান, ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো ও দলীয় প্রতীক সামনে আনার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় দলটির শীর্ষ নেতারা। দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে নির্বাচন কমিশন থেকে এনসিপির নিবন্ধন নিতেই হবে।

এজন্য দলের গঠনতন্ত্রসহ আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সে লক্ষ্যেই নেতারা কাজ করছেন। আপাতত দলের কোনো সহযোগী সংগঠন করার পরিকল্পনা তাদের নেই। এখন যুব, শ্রমিক, নারী ও ছাত্র উইং করা হতে পারে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নতুন কিংবা পুরোনো সব রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা থাকে জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া। এনসিপি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে উঠে এসেছে।

তাই এ দলের টার্গেট সবগুলো আসনে প্রার্থী দেওয়া। সেভাবে দলকে এগিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ চলমান। খসড়া প্রস্তুত করার পর তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শেষে চূড়ান্ত হবে গঠনতন্ত্র।

২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলের আত্মপ্রকাশের আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে এখন দ্রুতই গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যেই খসড়া তৈরির কাজে যুক্তদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনাও। এতে দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা, পরিবারতন্ত্রের বলয়মুক্ত রাজনীতি, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এ সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে চাই। কারণ নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন করতে গঠনতন্ত্র প্রয়োজন। সেভাবেই আমরা নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। তবে নবগঠিত এ দলের জেলা-উপজেলার কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কী হবে? নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে, নাকি তৃণমূলে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির নাম পরিবর্তন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি করা হবে-তা নিয়ে দলটির ভেতরে আলোচনা চলছে। নেতারা বলছেন,

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের যৌথ উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের ব্যানার। কিন্তু জাতীয় নাগরিক কমিটির নামে পরিবর্তন আসতে পারে। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

এনসিপির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নতুন দলের নিবন্ধনের বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নিতে হবে। এ কারণে নিবন্ধনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আবেদন করার পরিকল্পনার কথা বলছেন নেতারা।

তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হলে দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০ উপজেলা বা ক্ষেত্র অনুযায়ী মেট্রোপলিটন থানা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য বিবেচিত হতে হলে, দলের গঠনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান স্পষ্টভাবে থাকতে হয়। ফলে দলের নিবন্ধনের আবেদন বিষয়ে শর্ত অনুযায়ী দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করছে এনসিপি।

দল আত্মপ্রকাশ হলেও এখনো নিজেদের দলীয় প্রতীক ঘোষণা করতে পারেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের আগে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে পরিচালিত জনমত জরিপে দলের জন্য বেশ কিছু প্রতীকের প্রস্তাব এসেছে।

এগুলোর মধ্যে আছে বই, খাতা, কলম, মুষ্টিবদ্ধ হাত, কবুতর, শাপলা, ইলিশ, বাঘ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্য থেকে দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে পারেন দলের নেতারা।

এনসিপির কোনো সহযোগী সংগঠন থাকবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রথম পর্যায়ে যুব, শ্রমিক, নারী ও ছাত্র উইং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উইংগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তার নেতৃত্বে এসব উইং কাজ করবে। পরবর্তী সময়ে উইংগুলোই দলের সহযোগী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

দলের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, সাধারণত দল গঠনের পরই দলীয় গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়। আমরাও ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই গঠনতন্ত্র তৈরি কাজ চলছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।

দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা, পরিবারতন্ত্রমুক্ত রাজনীতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত, যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনসহ নানা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে।