
শেখ ইমন আহমেদ মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের পূর্ব আন্দিউড়া জাহেদ আলীর বাড়ি থেকে হামিদ খানের বাড়ি পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে, যার ফলে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, এবং এই রাস্তাটি ব্যবহার করে পূর্ব আন্দিউড়া থেকে আন্দিউড়া চক বাজার হয়ে মাধবপুর উপজেলার অন্যান্য স্থানে যেতে হয়। রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় রিকশা ও সিএনজি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন।।
আন্দিউড়া গ্রামের শত শত ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে চায়, কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে তারা সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না। গ্রামবাসীরা বাজার করতে গিয়ে সময়মতো যেতে পারছে না, এবং এতে তাদের জীবনে সৃষ্টি হচ্ছে নানা বিপদ। ফলে এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে তাদের ভোগান্তি দূর করবে।
আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া বলেন, প্রতিদিনই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। ইকবাল হোসেন বলেন, শতশত ছাত্রছাত্রী স্কুলে যেতে চায় কিন্তু তারা সময়মতো যেতে পারে না, প্রায়ই অটো উলটে দুর্ঘটনা ঘটে। রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণ কষ্ট হয়, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রিকশা চালক আব্বাস আলী জানান, এই রাস্তায় চলাচল করা খুবই কষ্টকর। দ্রুতই রিকশার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” তিনি রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান আবজল চৌধুরী বলেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য এলজিইডি বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তবে কোড দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা ৯ ফুট প্রশস্ত হওয়ায় বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, রাস্তার পাশের পুকুরে পাড় না থাকায় বালুর বড় ট্রলি নিয়ে যাওয়া হয়, যার কারণে দ্রুত ভাঙন দেখা দেয়।
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না, আমি নতুন এসেছি। তবে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা করব।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম বলেন, রাস্তার বরাদ্দ বা সংস্কারের কোন তথ্য আমার কাছে নাই।তবে আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের জানাব।