ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক Logo পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা Logo সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না- অর্থ উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত‍্যাযজ্ঞ হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ

বাংলার খবর ডেস্ক:

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার জালিয়াতি, রিজার্ভ অর্থ তছরুপসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে সম্পদের হিসাব যাচাই করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম এসব লকার খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।

দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল লকারগুলো খুলে সম্পদের তালিকা তৈরি করবে এবং পরবর্তী সময়ে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার হওয়ার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

দুদক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদার-এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এছাড়া, ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুসসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সংস্থাটির নজরদারিতে রয়েছেন।

এছাড়া, সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, বিএফআইইউর (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।

আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ লকার খোলার বিপক্ষে মত দিচ্ছেন, আবার কেউ দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, শেয়ারবাজার জালিয়াতি, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভ অর্থ তছরুপসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫ কর্মকর্তার লকার খুলছে আজ

আপডেট সময় ১২:৫৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলার খবর ডেস্ক:

বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার জালিয়াতি, রিজার্ভ অর্থ তছরুপসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খুলে সম্পদের হিসাব যাচাই করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে দুদকের বিশেষ টিম এসব লকার খুলবে। এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।

দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল লকারগুলো খুলে সম্পদের তালিকা তৈরি করবে এবং পরবর্তী সময়ে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) লকার থেকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার হওয়ার পর আরও ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

দুদক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও মো. আবদুর রউফ তালুকদার-এর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এছাড়া, ডেপুটি গভর্নর মোছা. নুরুন্নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, কাজী সাইদুর রহমান, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের, নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুসসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সংস্থাটির নজরদারিতে রয়েছেন।

এছাড়া, সাবেক নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, সাবেক পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ, বিএফআইইউর (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।

আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ লকার খোলার বিপক্ষে মত দিচ্ছেন, আবার কেউ দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম প্রকাশ পাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, শেয়ারবাজার জালিয়াতি, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি, রিজার্ভ অর্থ তছরুপসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।