ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে ২০০ শিক্ষার্থী Logo শমশেরনগর চা বাগান থেকে বিলীন হচ্ছে ছায়াবৃক্ষ, পরিবেশের ওপর হুমকি Logo হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ যুবক আটক Logo স্কুলের কমিটির সভাপতি পদে স্নাতক পাশ বাধ্যতামূলক Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন কর্নেল অলি আহমদ ও রেদোয়ান আহমেদ Logo হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইসিসি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল Logo প্রধান উপদেষ্টাকে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের Logo হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ডাকসু নির্বাচন Logo স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও: ৪৮ বছরে বিএনপি

মাধবপুরে এক শিক্ষকের বদলিতে সমস্যায় তিন বিদ্যালয়

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ এক্তিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মারাত্মক শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ছয়টি পদের মধ্যে তিনটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা বেগম শিউলী প্রেষণে বদলি হন তার বাসস্থানের নিকটবর্তী নোয়াপাড়া চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ ওই বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষক সংখ্যা পাঁচ হলেও বর্তমানে রয়েছেন সাতজন।

জানা যায়, অনলাইন বদলির সময় ভুয়া দূরত্ব দেখিয়ে তিনি প্রতিস্থাপন স্বাপেক্ষে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তবে প্রতিস্থাপন না হওয়ায় এক সপ্তাহ পরই বৈধতা সংকটে তিনি আবার নোয়াপাড়া চা বাগান বিদ্যালয়ে ফিরে যান।

রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম বলেন—
“তাসলিমা আক্তার শিউলী এক সপ্তাহই দায়িত্ব পালন করে ফেরত গেছেন। এতে কাগজে-কলমে একটি পদ পূর্ণ থাকলেও বাস্তবে শিক্ষক নেই, ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।”

আজ দুপুরে সরজমিনে নোয়াপাড়া চা বাগান বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার জানান, “তিনি সাময়িক ছুটি নিয়ে বাসায় গেছেন।” তবে হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর থাকলেও প্রস্থানের সময় লেখা রয়েছে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট।

অন্যদিকে দক্ষিণ এক্তিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র দুইজন শিক্ষক পাঠদান করছেন। প্রধান শিক্ষক নূরুল হক বলেন—
“বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন—
“সাময়িক ছুটির কোনো বিধান নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক তাসলিমা বেগম শিউলী জানান, “আমি নিয়ম মেনেই বদলি হয়েছি এবং দায়িত্ব পালন করছি। শ্বাশুড়ি অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার ওষুধ দিতে বাসায় এসেছিলাম।”

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে ২০০ শিক্ষার্থী

error:

মাধবপুরে এক শিক্ষকের বদলিতে সমস্যায় তিন বিদ্যালয়

আপডেট সময় ০৭:৪২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ এক্তিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মারাত্মক শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ছয়টি পদের মধ্যে তিনটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা বেগম শিউলী প্রেষণে বদলি হন তার বাসস্থানের নিকটবর্তী নোয়াপাড়া চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ ওই বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষক সংখ্যা পাঁচ হলেও বর্তমানে রয়েছেন সাতজন।

জানা যায়, অনলাইন বদলির সময় ভুয়া দূরত্ব দেখিয়ে তিনি প্রতিস্থাপন স্বাপেক্ষে রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তবে প্রতিস্থাপন না হওয়ায় এক সপ্তাহ পরই বৈধতা সংকটে তিনি আবার নোয়াপাড়া চা বাগান বিদ্যালয়ে ফিরে যান।

রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম বলেন—
“তাসলিমা আক্তার শিউলী এক সপ্তাহই দায়িত্ব পালন করে ফেরত গেছেন। এতে কাগজে-কলমে একটি পদ পূর্ণ থাকলেও বাস্তবে শিক্ষক নেই, ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।”

আজ দুপুরে সরজমিনে নোয়াপাড়া চা বাগান বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তার জানান, “তিনি সাময়িক ছুটি নিয়ে বাসায় গেছেন।” তবে হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর থাকলেও প্রস্থানের সময় লেখা রয়েছে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট।

অন্যদিকে দক্ষিণ এক্তিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র দুইজন শিক্ষক পাঠদান করছেন। প্রধান শিক্ষক নূরুল হক বলেন—
“বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন—
“সাময়িক ছুটির কোনো বিধান নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক তাসলিমা বেগম শিউলী জানান, “আমি নিয়ম মেনেই বদলি হয়েছি এবং দায়িত্ব পালন করছি। শ্বাশুড়ি অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার ওষুধ দিতে বাসায় এসেছিলাম।”