ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo লাখাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে ২০০ শিক্ষার্থী Logo শমশেরনগর চা বাগান থেকে বিলীন হচ্ছে ছায়াবৃক্ষ, পরিবেশের ওপর হুমকি Logo হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ যুবক আটক Logo স্কুলের কমিটির সভাপতি পদে স্নাতক পাশ বাধ্যতামূলক Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন কর্নেল অলি আহমদ ও রেদোয়ান আহমেদ Logo হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইসিসি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল Logo প্রধান উপদেষ্টাকে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের Logo হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ডাকসু নির্বাচন Logo স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও: ৪৮ বছরে বিএনপি

লাখাইয়ে ৪২ কেজিতে মন ধান কেনা নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষক, প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী

পারভেজ হাসান, লাখাই থেকে:
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ধান কেনাবেচায় দীর্ঘদিন ধরে চলা এক অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় পাইকাররা ৪০ কেজির পরিবর্তে ৪২ কেজিতে এক মন ধান কিনছেন, যা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশের সর্বত্রই ৪০ কেজিতে এক মন হিসেবে ধান বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু লাখাইয়ের বাজারগুলোতে পাইকাররা প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান নিচ্ছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষক হারুন বলেন, “আমি আজ বুল্লা বাজারে ধান বিক্রি করতে এসে জানতে পারলাম ৪২ কেজিতে এক মন। বাধ্য হয়ে আমাকে এ নিয়মেই ধান বিক্রি করতে হলো। এটা আমাদের জন্য চরম অন্যায়।”

আরেক কৃষক মারিফত হাসান জানান, কিছুদিন আগে তিনি ৭০ মন ধান বিক্রি করেছেন এবং প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হয়েছে। “আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন পাইকাররা। পরিশ্রম করে উৎপাদিত ধান থেকে জোর করে অতিরিক্ত ২ কেজি নেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ।”

কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, “আজ আমি সাড়ে ১৩ মন ধান বিক্রি করেছি। ৪২ কেজি মনে বিক্রি করার কারণে আমার কাছ থেকে ২৭ কেজি ধান বেশি নেওয়া হয়েছে। এই বাড়তি ধান আমার পরিশ্রমের ফসল, যা আমাকে জোর করে দিতে হয়েছে।”

লাখাইয়ের কৃষক ও এলাকাবাসী এই প্রথার অবসান চান। তাদের প্রশ্ন—যেখানে ৮০ তোলায় এক সের এবং ৪০ সেরে এক মন নির্ধারিত, সেখানে কেন ৪২ কেজিকে এক মন ধরা হচ্ছে? তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এই অনিয়ম বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

জনপ্রিয় সংবাদ

লাখাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে ২০০ শিক্ষার্থী

error:

লাখাইয়ে ৪২ কেজিতে মন ধান কেনা নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষক, প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১২:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

পারভেজ হাসান, লাখাই থেকে:
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ধান কেনাবেচায় দীর্ঘদিন ধরে চলা এক অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় পাইকাররা ৪০ কেজির পরিবর্তে ৪২ কেজিতে এক মন ধান কিনছেন, যা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশের সর্বত্রই ৪০ কেজিতে এক মন হিসেবে ধান বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু লাখাইয়ের বাজারগুলোতে পাইকাররা প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান নিচ্ছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষক হারুন বলেন, “আমি আজ বুল্লা বাজারে ধান বিক্রি করতে এসে জানতে পারলাম ৪২ কেজিতে এক মন। বাধ্য হয়ে আমাকে এ নিয়মেই ধান বিক্রি করতে হলো। এটা আমাদের জন্য চরম অন্যায়।”

আরেক কৃষক মারিফত হাসান জানান, কিছুদিন আগে তিনি ৭০ মন ধান বিক্রি করেছেন এবং প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হয়েছে। “আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন পাইকাররা। পরিশ্রম করে উৎপাদিত ধান থেকে জোর করে অতিরিক্ত ২ কেজি নেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ।”

কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, “আজ আমি সাড়ে ১৩ মন ধান বিক্রি করেছি। ৪২ কেজি মনে বিক্রি করার কারণে আমার কাছ থেকে ২৭ কেজি ধান বেশি নেওয়া হয়েছে। এই বাড়তি ধান আমার পরিশ্রমের ফসল, যা আমাকে জোর করে দিতে হয়েছে।”

লাখাইয়ের কৃষক ও এলাকাবাসী এই প্রথার অবসান চান। তাদের প্রশ্ন—যেখানে ৮০ তোলায় এক সের এবং ৪০ সেরে এক মন নির্ধারিত, সেখানে কেন ৪২ কেজিকে এক মন ধরা হচ্ছে? তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এই অনিয়ম বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।