
পারভেজ হাসান, লাখাই থেকে:
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ধান কেনাবেচায় দীর্ঘদিন ধরে চলা এক অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় পাইকাররা ৪০ কেজির পরিবর্তে ৪২ কেজিতে এক মন ধান কিনছেন, যা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশের সর্বত্রই ৪০ কেজিতে এক মন হিসেবে ধান বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু লাখাইয়ের বাজারগুলোতে পাইকাররা প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান নিচ্ছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এবং জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক হারুন বলেন, “আমি আজ বুল্লা বাজারে ধান বিক্রি করতে এসে জানতে পারলাম ৪২ কেজিতে এক মন। বাধ্য হয়ে আমাকে এ নিয়মেই ধান বিক্রি করতে হলো। এটা আমাদের জন্য চরম অন্যায়।”
আরেক কৃষক মারিফত হাসান জানান, কিছুদিন আগে তিনি ৭০ মন ধান বিক্রি করেছেন এবং প্রতি মনে ২ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হয়েছে। “আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন পাইকাররা। পরিশ্রম করে উৎপাদিত ধান থেকে জোর করে অতিরিক্ত ২ কেজি নেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ।”
কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, “আজ আমি সাড়ে ১৩ মন ধান বিক্রি করেছি। ৪২ কেজি মনে বিক্রি করার কারণে আমার কাছ থেকে ২৭ কেজি ধান বেশি নেওয়া হয়েছে। এই বাড়তি ধান আমার পরিশ্রমের ফসল, যা আমাকে জোর করে দিতে হয়েছে।”
লাখাইয়ের কৃষক ও এলাকাবাসী এই প্রথার অবসান চান। তাদের প্রশ্ন—যেখানে ৮০ তোলায় এক সের এবং ৪০ সেরে এক মন নির্ধারিত, সেখানে কেন ৪২ কেজিকে এক মন ধরা হচ্ছে? তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এই অনিয়ম বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।