
বাংলার খবর ডেস্ক:
জরুরি অবস্থা কীভাবে ঘোষণা হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে নয়, মন্ত্রিসভার অনুমোদনে ঘোষণা করতে হবে জরুরি অবস্থা। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতাকে।
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো। সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থেকে রক্ষার অধিকার’ বজায় থাকবে।
কমিশন সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ (ক) ধারার আওতায় রাষ্ট্রপতি ৯০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন, তবে তা বৈধ করতে হবে মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদনে।
আগের নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর একক স্বাক্ষরে জরুরি অবস্থা জারি হতো, এখন তার পরিবর্তে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে এবং বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা উপস্থিত থাকবেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকেও বিরোধী দলের সম্পৃক্ততা চেয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রিসভার অনুমোদন বাধ্যতামূলক এবং বৈঠকে বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।