
লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনের জানালা ভেঙে বিজিডির ৭/ ৮ বস্তা চাল চুরি হয়েছে বলে জানাযায়। প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল ছিল।গতকাল বুধবার (২১মে) দিবাগত রাতের এ চাল চুরির ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির বিজিডি কার্ডের বিপরীতে এই বস্তাগুলো বিতরণের জন্য ইউনিয়নের গোডাউনে তুলে রাখা হয়। বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ পরিচয় দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদকে জানান,,সুজন রবি দাস এবং প্রান্তোস দাস ইউনিয়নের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলো।সকালে আমি পরিষদে এসে গোডাউনের জানালে ভাঙ্গা দেখতে পাই, এবং দেখি কে বা কারা ৭/৮ বস্তা চাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার – পজীব কর্মকর্তা কে.এম আব্দুস সাহেদ বলেন, জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী, মার্চ- এই তিন মাসের ৩২২জন কার্ডধারীদের মধ্যে ৩১০জন কার্ডধারীকে ৩ বস্তুা করে ৯৩০ চাল বিতরণ করে দেয়া হয়েছে,বাকী ১২জন কার্ডধারী অনুপস্থিত থাকায় অবশিষ্ট ৩৬ বস্তা চাল স্টক করে রেখে আসছিলাম ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে , এমন কি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বুজিয়ে দিয়ে আসছিলাম। তিনি আরও বলেন, চাল বিতরণ পর্যন্ত আমার দায়িত্ব, পরে চাল কি হল, কি হয়েছে তা আমার দায়িত্ব না, তবে শুনছি চাল চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, ২ বস্তা চাল চুরি হয়েছে।কিন্তু কে বা কারা নিয়েছে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
চাল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ সৌরভ বলেন,আমার ইউনিয়ন পরিষদ হল রুম থেকে বুধবার দিবাগত রাতে জানলা ভেঙ্গে বিডব্লিউবি কর্মসূচির ২ বস্তুা চাল কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।
সরজমিনে, চুরির ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন রুমে গিয়ে দেখা যায় ১৬ বস্তা চাল পরে রয়েছে। ট্যাগ অফিসার – পজীব কর্মকর্তা কে.এম আব্দুস সাহেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৬ বস্তা চাল ছিল। সেখান থেকে দুই বস্তা চুরি হলে ৩৪ বস্তা থাকার কথা। কিন্তু দেখা গেল ১৬ বস্তা চাল রয়েছে। আবার গ্রাম পুলিশ বলছেন সাত আট বস্তা চুরি হয়েছে, এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বুল্লা বাজারের পূর্ব পাশে জসিম নামক ব্যক্তির বাড়িতে সরকারি চাউলের বস্তা পরিবর্তন করে অন্য অবস্থায় স্থানান্তর করতে দেখেছেন এক পথচারী। পথচারীর তথ্য অনুযায়ী জসিম মিয়ার বাড়িতে গেলে বাড়িতে থাকা লোকজন ঘটনার সততা স্বীকার করেন। এবং বলেন ওই চাল কিছুক্ষণ আগে গাড়ি দিয়ে তারা হবিগঞ্জ নিয়ে গেছে। খেয়ে বা কারা ওই চাল রেখেছিলেন জিজ্ঞেস করলে, বলেন আমি আমাদের গ্রামের জাবেদ ছাড়া আর কাউকে চিনি না। এবং কয়েকজন মিলে ওই চাল গাড়ি দিয়ে নিয়ে গেছে।
পরে এবিষয়ে অভিযুক্ত জাবেদের মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, এই মালামাল মনতৈলের কয়েকজনে আমার গাড়ি দিয়ে এনে ওই জায়গায় রেখেছে। এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপের অফিসিয়াল মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিলে উনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ভয়েস দিয়ে ওনাকে অবগত করা হয়েছে।