ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান

৫০ লাখ টাকায়ও হয়নি ডাকবাংলোর কোনো কাজ, ফের কোটি টাকা বরাদ্দ

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযান শেষে দুদক জানিয়েছে, ভেদরগঞ্জের ডাকবাংলোর নামে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো কাজ না করে ফের এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা পরিষদ।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।

দুদক জানায়, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ডাকবাংলো ও সড়ক নির্মাণ, কম্বল বিতরণ, বাউন্ডারি ওয়াল, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতা মঞ্চ, মসজিদ-মন্দির নির্মাণসহ ২০ টি প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে আসে সংস্থাটি। এসব অভিযোগের মধ্যে ভেদরগঞ্জের ডাকবাংলো নির্মাণে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ না করে পুনরায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়াও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী শামীম হোসেনসহ অন্যান্য ৭ কর্মকর্তা ও পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে ৭ জন সাবেক কর্মকর্তাসহ ২০টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কিছু অসঙ্গতি ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ভেদরগঞ্জ ডাকবাংলোর নামে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো কাজ না করে ফের এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমন বরাদ্দ কোনো প্রক্রিয়ায় এসেছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখব।

প্রাথমিকভাবে এই বিষয়টিকে আমাদের কাছে অনিয়ম মনে হয়েছে। এসব বিষয় নিরীক্ষা করে আমরা কমিশনের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করব। কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

‘মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগীদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’

error:

৫০ লাখ টাকায়ও হয়নি ডাকবাংলোর কোনো কাজ, ফের কোটি টাকা বরাদ্দ

আপডেট সময় ০৫:১৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযান শেষে দুদক জানিয়েছে, ভেদরগঞ্জের ডাকবাংলোর নামে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো কাজ না করে ফের এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা পরিষদ।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।

দুদক জানায়, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ডাকবাংলো ও সড়ক নির্মাণ, কম্বল বিতরণ, বাউন্ডারি ওয়াল, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতা মঞ্চ, মসজিদ-মন্দির নির্মাণসহ ২০ টি প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে আসে সংস্থাটি। এসব অভিযোগের মধ্যে ভেদরগঞ্জের ডাকবাংলো নির্মাণে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ না করে পুনরায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়াও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী শামীম হোসেনসহ অন্যান্য ৭ কর্মকর্তা ও পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে ৭ জন সাবেক কর্মকর্তাসহ ২০টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাদ্দে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কিছু অসঙ্গতি ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ভেদরগঞ্জ ডাকবাংলোর নামে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কোনো কাজ না করে ফের এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমন বরাদ্দ কোনো প্রক্রিয়ায় এসেছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখব।

প্রাথমিকভাবে এই বিষয়টিকে আমাদের কাছে অনিয়ম মনে হয়েছে। এসব বিষয় নিরীক্ষা করে আমরা কমিশনের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করব। কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।