ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মারুফ কামালের প্রশ্ন

হাসিনার অনুগত দোসরকে কেন সুরক্ষা দেবেন উপদেষ্টা আসিফ

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অনুগত দোসরকে কেন সুরক্ষা দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।

রোববার নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ তুলেন সাবেক এই প্রেস সচিব।

মারুফ কামাল খানের পোস্ট পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তার সঙ্গে ভালো জানা শোনা আছে এমন কেউ থাকলে সাড়া দেবেন দয়া করে।

কী কাজ তার কাছে আমার তা বলছি।

আসিফ মাহমুদ নিয়ন্ত্রিত এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এক কর্মকর্তা ছিল হাসিনার খুব অনুগত দোসর। ২০২৩ সাল থেকে সেই মহাচোর ও দুর্বৃত্তটি একই পদে বহাল আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সে উপদেষ্টা আসিফের নাম ভাঙ্গিয়ে সেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপে রাজত্ব করছে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের ঘেঁটু ওই দুর্নীতিবাজকে উপদেষ্টা কেন সুরক্ষা দেবেন? কোন স্বার্থে?

ওর বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ আছে। এক্ষুনি ওর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ওকে ছাড়া যাবে না। বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারকগণ, প্রধান উপদেষ্টার অফিস ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রনেতাদেরও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হতে পারে।’

ওই পোস্টে কমেন্টে বন্যা সিদ্দিকী নামের একজন লেখেন, এই সরকারের মন্ত্রিসভার লোকগুলো শুধু বদলেছে। বাকি সব স্বৈরাচারের লোকেরা বহাল তবিয়াতেই আছে।

শরিফুল ইসলাম নামের আরেকজন লেখেন,‘পুরো সচিবালয়ে হাসিনার দোসর রা!’

রবিউল হাসান সবুজ লেখেন, উপদেষ্টা জেনেও যদি না জানার ভান করে থাকেন, অদূর ভবিষ্যতে তাদের আইনের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আশা করি উপদেষ্টা পদক্ষেপ নেবেন।

লুৎফুল হাই ভূঁইয়া লেখেন, উপদেষ্টা তথ্যটি পেয়ে থাকার কথা। এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে, উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কলমের যুদ্ধ চলবে!

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
error:

মারুফ কামালের প্রশ্ন

হাসিনার অনুগত দোসরকে কেন সুরক্ষা দেবেন উপদেষ্টা আসিফ

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অনুগত দোসরকে কেন সুরক্ষা দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।

রোববার নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ তুলেন সাবেক এই প্রেস সচিব।

মারুফ কামাল খানের পোস্ট পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তার সঙ্গে ভালো জানা শোনা আছে এমন কেউ থাকলে সাড়া দেবেন দয়া করে।

কী কাজ তার কাছে আমার তা বলছি।

আসিফ মাহমুদ নিয়ন্ত্রিত এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এক কর্মকর্তা ছিল হাসিনার খুব অনুগত দোসর। ২০২৩ সাল থেকে সেই মহাচোর ও দুর্বৃত্তটি একই পদে বহাল আছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সে উপদেষ্টা আসিফের নাম ভাঙ্গিয়ে সেখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপে রাজত্ব করছে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের ঘেঁটু ওই দুর্নীতিবাজকে উপদেষ্টা কেন সুরক্ষা দেবেন? কোন স্বার্থে?

ওর বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ আছে। এক্ষুনি ওর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ওকে ছাড়া যাবে না। বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারকগণ, প্রধান উপদেষ্টার অফিস ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রনেতাদেরও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হতে পারে।’

ওই পোস্টে কমেন্টে বন্যা সিদ্দিকী নামের একজন লেখেন, এই সরকারের মন্ত্রিসভার লোকগুলো শুধু বদলেছে। বাকি সব স্বৈরাচারের লোকেরা বহাল তবিয়াতেই আছে।

শরিফুল ইসলাম নামের আরেকজন লেখেন,‘পুরো সচিবালয়ে হাসিনার দোসর রা!’

রবিউল হাসান সবুজ লেখেন, উপদেষ্টা জেনেও যদি না জানার ভান করে থাকেন, অদূর ভবিষ্যতে তাদের আইনের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আশা করি উপদেষ্টা পদক্ষেপ নেবেন।

লুৎফুল হাই ভূঁইয়া লেখেন, উপদেষ্টা তথ্যটি পেয়ে থাকার কথা। এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে, উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কলমের যুদ্ধ চলবে!