ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে

বাংলাদেশে জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার পাওয়া তিন শ্রীলঙ্কান ফিরে গেছেন

শ্রীলঙ্কান নাগরিক পাথিরানা ও মালাভি পাথিরানা(ডানে)

ব্যবসার সম্ভাবনা দেখতে বাংলাদেশে এসে জিম্মি হয়ে পড়া তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা আজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা  জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটের একটি এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।

ওই তিন শ্রীলঙ্কান হলেন মালাভি পাথিরানা, তার স্ত্রী পাথিরানা, থুপ্পি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক বা ডিআইজি মো. রেজাউল হক জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট এলাকার শহিদুল শেখ নামে এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বিবিসি বাংলাকে জানান, তারা অ্যাকুরিয়াম ফিসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

“ফরিদপুরে অ্যাকুরিয়াম ফিস উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান দেখানোর কথা বলে তাদের আমন্ত্রণ জানান শহিদুল শেখ,” বলেন মি. আরিফ।

গত ২২শে এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছান তারা। রাতে তাদের বাগেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিআইজি মি. হক জানান, “বাগেরহাটে এনে তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তারা এতো টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়, তখন অপহরণকারীরা শ্রীলঙ্কায় তাদের (জিম্মিদের) পরিবারের কাছে ফোন করে থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে এ মুক্তিপণ দাবি করা হয়।”

“আড়াই কোটি টাকার মুক্তিপণ প্রদানে রাজি হওয়ায় তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তি হয়,” যোগ করেন তিনি।

পরে পরিবার থেকে হাইকমিশনের মারফতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পুলিশ অভিযান চালায়।

এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আনার চেষ্টা করা হয় বলেও জানান মি. হক।

তারা চারটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠিয়েছিল জিম্মিদের পরিবারকে,” যোগ করেন তিনি।

এ ঘটনায় চার জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন – কাজী এমদাদ হোসেন, শহিদুল শেখ ও জনি শেখ এবং এস এম সামসুল আলম।

শুক্রবার পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক রেজাউল হক জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

“আটককৃতদের মধ্যে তিনজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় একটি জবানবন্দি দিয়েছেন,” বলেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত

error:

বাংলাদেশে জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার পাওয়া তিন শ্রীলঙ্কান ফিরে গেছেন

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ব্যবসার সম্ভাবনা দেখতে বাংলাদেশে এসে জিম্মি হয়ে পড়া তিন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা আজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা  জানিয়েছেন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটের একটি এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।

ওই তিন শ্রীলঙ্কান হলেন মালাভি পাথিরানা, তার স্ত্রী পাথিরানা, থুপ্পি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক বা ডিআইজি মো. রেজাউল হক জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট এলাকার শহিদুল শেখ নামে এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বিবিসি বাংলাকে জানান, তারা অ্যাকুরিয়াম ফিসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

“ফরিদপুরে অ্যাকুরিয়াম ফিস উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান দেখানোর কথা বলে তাদের আমন্ত্রণ জানান শহিদুল শেখ,” বলেন মি. আরিফ।

গত ২২শে এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছান তারা। রাতে তাদের বাগেরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিআইজি মি. হক জানান, “বাগেরহাটে এনে তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তারা এতো টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়, তখন অপহরণকারীরা শ্রীলঙ্কায় তাদের (জিম্মিদের) পরিবারের কাছে ফোন করে থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে এ মুক্তিপণ দাবি করা হয়।”

“আড়াই কোটি টাকার মুক্তিপণ প্রদানে রাজি হওয়ায় তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তি হয়,” যোগ করেন তিনি।

পরে পরিবার থেকে হাইকমিশনের মারফতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে পুলিশ অভিযান চালায়।

এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আনার চেষ্টা করা হয় বলেও জানান মি. হক।

তারা চারটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠিয়েছিল জিম্মিদের পরিবারকে,” যোগ করেন তিনি।

এ ঘটনায় চার জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন – কাজী এমদাদ হোসেন, শহিদুল শেখ ও জনি শেখ এবং এস এম সামসুল আলম।

শুক্রবার পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক রেজাউল হক জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

“আটককৃতদের মধ্যে তিনজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় একটি জবানবন্দি দিয়েছেন,” বলেন তিনি।