ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের দোহায় আয়োজিত এক বেসরকারি ব্যবসায়িক সংবর্ধনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি রাজ্যের সমুদ্রে প্রবেশের সুযোগ নেই। তিনি উল্লেখ করেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে প্রবেশাধিকার দেওয়া হলে এটি একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। ড. ইউনূস বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন ইউনিট স্থানান্তরের জন্য উৎসাহিত করেন এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

একই দিনে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়নে সম্মতি প্রকাশ করে কাতার। কাতারি প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশ বর্তমানে কাতারের সঙ্গে ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ১.৫ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করছে। ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় একটি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার কাতার সফরে কাতারের আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং কাতার ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন শেখ থানি বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব আলোচনায় বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাতারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেন।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও অন্যান্য খাত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। তিনি জানান, বর্তমান সরকার এসব খাত সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে সরকার জ্বালানি ও অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও টেক্সটাইল এবং সমুদ্র অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করছে

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলার খবর

বাংলার খবর
error:

কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ১২:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের দোহায় আয়োজিত এক বেসরকারি ব্যবসায়িক সংবর্ধনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি রাজ্যের সমুদ্রে প্রবেশের সুযোগ নেই। তিনি উল্লেখ করেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে প্রবেশাধিকার দেওয়া হলে এটি একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। ড. ইউনূস বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন ইউনিট স্থানান্তরের জন্য উৎসাহিত করেন এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

একই দিনে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়নে সম্মতি প্রকাশ করে কাতার। কাতারি প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশ বর্তমানে কাতারের সঙ্গে ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ১.৫ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করছে। ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় একটি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার কাতার সফরে কাতারের আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং কাতার ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন শেখ থানি বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব আলোচনায় বাংলাদেশের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাতারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেন।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও অন্যান্য খাত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। তিনি জানান, বর্তমান সরকার এসব খাত সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে সরকার জ্বালানি ও অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও টেক্সটাইল এবং সমুদ্র অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করছে