ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শেষ পর্যন্ত ৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ Logo কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি, থানায় জিডি Logo ট্রাম্পের সৌদি আরবকে ইসরায়েল স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান Logo লাখাইয়ে ৩ টি চোরাই গরু সহ এক চোর আটক Logo পুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম Logo চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপি Logo নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা: জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার Logo আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ Logo নবীগঞ্জে মাদকসেবী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন Logo নবীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

জুলাই গণহত্যায় গুলির নির্দেশ: সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার

সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ায় সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রথম কোনো বিসিএস কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও একই মামলায় রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের তথ্য বলছে, পুলিশকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। সোমবার নরসিংদীর গণহত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাইফুলসহ একই অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলির নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীতে শহিদ হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। পুলিশের গুলিতে তাহমিদ নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন। জুলাই আন্দোলনে শুধু এই জেলাতেই শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

জুলাই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ১৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। যাদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্টে বিভিন্ন পেশার আসামিদের চিত্র উঠে আসবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

শেষ পর্যন্ত ৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ

জুলাই গণহত্যায় গুলির নির্দেশ: সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ায় সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রথম কোনো বিসিএস কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও একই মামলায় রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের তথ্য বলছে, পুলিশকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। সোমবার নরসিংদীর গণহত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাইফুলসহ একই অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলির নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীতে শহিদ হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। পুলিশের গুলিতে তাহমিদ নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন। জুলাই আন্দোলনে শুধু এই জেলাতেই শহিদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

জুলাই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ২২ মামলায় ১৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। যাদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্টে বিভিন্ন পেশার আসামিদের চিত্র উঠে আসবে।