
বাংলার খবর ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল ঘোষণার প্রাথমিক পর্যায়েই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি মঙ্গলবার রাতে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং পরবর্তীতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একই অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে আবিদুল লেখেন, “পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।” তার এই বক্তব্য দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেয়।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভয়াবহ কারচুপি হয়েছে। তিনি বলেন, “যে ভোটের বাক্সগুলো খালি বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, গণনার সময় দেখা গেছে সেগুলোতে ব্যালট ভর্তি। এ ধরনের নির্বাচন কারচুপির দিক থেকে হাসিনা সরকারের নির্বাচনেরও চেয়ে ভয়াবহ।”
ভিপি প্রার্থী আবিদুল আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে শিক্ষার্থীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে দেখলেও পরিকল্পিতভাবে ফলাফলকে বিকৃত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভোটের প্রকৃত ফলাফল জনগণের সামনে প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীরা আসল চিত্র জানতে পারবে।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়া আইন ও নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে এবং কারচুপির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তবে ছাত্রদল সমর্থকরা নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছেন।
ডাকসু নির্বাচনের এই ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থী মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে মিছিল ও স্লোগানের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।