ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কয়েক দিনের সংঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় গরু জবাই করে বিরিয়ানি খাওয়ালেন ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে

ছয় থানার ওসি একযোগে বদলির আদেশ

ময়মনসিংহের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার ও সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২ শাখা থেকে এআইজি মো. মিনহাজুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যেসব থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে সেই থানাগুলো হলো- কোতোয়ালি মডেল থানা, গৌরীপুর, ভালুকা, নান্দাইল, হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছা। সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে চার ওসির বদলির আদেশ জারি করা হয়। এর আগে রোববার আরও দুই থানার ওসির বদলির আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সোমবারের আদেশে বদলি হয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান শফিক, গৌরীপুর থানার ওসি মির্জা মাজহারুল আনোয়ার, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান এবং নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম খান, মাজহারুল আনোয়ার ও মো. শামছুল হুদা খানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে এবং ফরিদ আহমেদকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে রোববারের একটি আদেশে হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়েরকে এপিবিএন এবং মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় তার একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে। হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়ের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন তারাকান্দা থানার ওসি থাকা অবস্থায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের আস্থাভাজন হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যাপক নির্যাতন করেছেন। ৫ আগস্টের পর শক্ত লবিং ও তদবিরের মাধ্যমে তিনি সীমান্ত এলাকা হালুয়াঘাটের অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পান। অভিযোগ আছে, এক শ্রেণির দালালদের সঙ্গে সখ্যতা করে সীমান্তে অবৈধ পারাপার ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ফুটবল লীগ আয়োজনে ডিএফএ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত

error:

ছয় থানার ওসি একযোগে বদলির আদেশ

আপডেট সময় ০৯:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

ময়মনসিংহের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার ও সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২ শাখা থেকে এআইজি মো. মিনহাজুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যেসব থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে সেই থানাগুলো হলো- কোতোয়ালি মডেল থানা, গৌরীপুর, ভালুকা, নান্দাইল, হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছা। সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে চার ওসির বদলির আদেশ জারি করা হয়। এর আগে রোববার আরও দুই থানার ওসির বদলির আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সোমবারের আদেশে বদলি হয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান শফিক, গৌরীপুর থানার ওসি মির্জা মাজহারুল আনোয়ার, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান এবং নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম খান, মাজহারুল আনোয়ার ও মো. শামছুল হুদা খানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে এবং ফরিদ আহমেদকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে রোববারের একটি আদেশে হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়েরকে এপিবিএন এবং মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় তার একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে। হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়ের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন তারাকান্দা থানার ওসি থাকা অবস্থায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের আস্থাভাজন হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যাপক নির্যাতন করেছেন। ৫ আগস্টের পর শক্ত লবিং ও তদবিরের মাধ্যমে তিনি সীমান্ত এলাকা হালুয়াঘাটের অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পান। অভিযোগ আছে, এক শ্রেণির দালালদের সঙ্গে সখ্যতা করে সীমান্তে অবৈধ পারাপার ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি