ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে যুবকের খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর রেললাইন থেকে এক যুবকের হাত পা বিচ্ছিন্ন ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্বার করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা রেলগেইট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্বার করা হয়।

সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রেললাইনের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইকবালের সাথে তার পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিল না। পরে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইকবালের পরিবার। রেললাইন থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের চেহারা এবং জিডি করা নিখোঁজ ইকবালের ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে।

নিহত ইকবাল হোসাইন (৩০) উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকার বড়চেগ গ্রামের এলাইচ মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ইকবাল তার শ্বশুর বাড়ি কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল। শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে কমলগঞ্জের বড়গাছ এলাকায় রেললাইনের পাশে হাত পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ স্বজনদের। হত্যার পর রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিলো যেন এটি দুর্ঘটনা মনে হয়, এমনটা দাবি করেন তারা।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, উদ্বার করা মৃতদেহ থেকে পাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুরো শরীর ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা; সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত করে জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

কমলগঞ্জে যুবকের খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৫:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর রেললাইন থেকে এক যুবকের হাত পা বিচ্ছিন্ন ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্বার করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা রেলগেইট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্বার করা হয়।

সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রেললাইনের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) ইকবালের সাথে তার পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিল না। পরে কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ইকবালের পরিবার। রেললাইন থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের চেহারা এবং জিডি করা নিখোঁজ ইকবালের ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে।

নিহত ইকবাল হোসাইন (৩০) উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকার বড়চেগ গ্রামের এলাইচ মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ইকবাল তার শ্বশুর বাড়ি কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল। শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে কমলগঞ্জের বড়গাছ এলাকায় রেললাইনের পাশে হাত পা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ স্বজনদের। হত্যার পর রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছিলো যেন এটি দুর্ঘটনা মনে হয়, এমনটা দাবি করেন তারা।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, উদ্বার করা মৃতদেহ থেকে পাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুরো শরীর ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা; সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত করে জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে