ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম Logo “সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ: নিরপেক্ষতা কি সম্ভব?” Logo পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার ও জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দিয়েছে ভারত Logo মাস্ক ও লুঙ্গি পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ Logo আগেও দুইবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল Logo মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান Logo দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো একটানা ২১দিন বন্ধ থাকবে Logo প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কৃষক লীগ নেত্রী ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম গ্রেফতার Logo “অন্যায়ের প্রতিবাদে হামলার শিকার জামালপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতিকসহ ৪ জন” Logo বিএনপির তারুণ্যের মহাসমাবেশ যোগ দিয়ে যা বললেন তামিম ইকবাল খান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সংবাদদাতা মাইনুদ্দীন রুবেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার মাইনুদ্দীন উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছেন। তার এই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে আসছেন ছেলে মো. মুন্না, রাসেল মিয়া, মোবারক হোসেন, চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া এবং ইছাপুরা ইউপি সদস্য আনিছ মিয়া। এ কাজে সহায়তা করছেন বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি। এসব অনিয়ম নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক মাইনুদ্দীন।

সম্প্রতি বিজয়নগর থানার সাবেক ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদের সামনে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কাইয়ুম, মোখলেছুর, মুন্না, রাসেলসহ ৩০-৪০ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায় মাইনুদ্দীনের ওপর। তার সঙ্গে থাকা ভাগিনা ও স্থানীয় কয়েকজন হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত হন।

সাংবাদিক মাইনুদ্দীনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মাইনুদ্দীন বলেন, “মাটি কাটার সংবাদ প্রকাশের কারণে কাইয়ুম ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যাচেষ্টা করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, “ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এদিকে অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম

error:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

আপডেট সময় ১২:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অবৈধ মাটির ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সংবাদদাতা মাইনুদ্দীন রুবেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার মাইনুদ্দীন উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছেন। তার এই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে আসছেন ছেলে মো. মুন্না, রাসেল মিয়া, মোবারক হোসেন, চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া এবং ইছাপুরা ইউপি সদস্য আনিছ মিয়া। এ কাজে সহায়তা করছেন বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সি। এসব অনিয়ম নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক মাইনুদ্দীন।

সম্প্রতি বিজয়নগর থানার সাবেক ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদের সামনে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কাইয়ুম, মোখলেছুর, মুন্না, রাসেলসহ ৩০-৪০ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায় মাইনুদ্দীনের ওপর। তার সঙ্গে থাকা ভাগিনা ও স্থানীয় কয়েকজন হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত হন।

সাংবাদিক মাইনুদ্দীনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মাইনুদ্দীন বলেন, “মাটি কাটার সংবাদ প্রকাশের কারণে কাইয়ুম ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যাচেষ্টা করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, “ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এদিকে অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।