ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সার্কের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন কমলগঞ্জের কৃতি সন্তান তানভীর আহমেদ Logo সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট ছেলের পোষ্ট Logo সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু গ্রেফতার Logo মিশাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, তবে ঘটনা ভিন্ন Logo ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫-এ মিশু থাকছেন কি না, জানালেন অমি Logo মুস্তাফিজের পর দল পেলেন সাকিবও Logo বর্ষায় ডুবে যায় সড়ক, উঁচু ও টেকসই নির্মাণে জোর দাবি লাখাই ইউনিয়নবাসীর Logo লাখাইয়ে হৃদয় হত্যা মামলার ১ আসামি গ্রেফতার Logo সারাদেশে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হলেন জামালপুরের ফারজানা ইসলাম Logo সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, লিগ্যাল নোটিশ ৯ তারকাকে

মাধবপুরে ফসলি জমির সর্বনাশ

Oplus_131072

মাধবপুর( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক্সক্যাভেটর দিয়ে জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটাসহ জমি ভরাট কাজে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ কৃষিজমি তিন ফসলি। এখানে বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ ধান আবাদ করা হয়। কিন্তু প্রতিবছর এ উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমির মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষক থেকে মাটি কিনে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে।

দৈনিক বাংলার খবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল whatsapp চ্যানেল ফলো করুন।।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় কয়েকটি শক্তিশালী মাটি ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছে। এরা দরিদ্র কৃষককে নানা প্রলোভন দেখিয়ে জমির মাটি কিনে নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনের তাগিদে নগদ অর্থ পেতে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ৮-১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে অনেক জমি পুকুর বা ডোবায় পরিণত হয়েছে। এসব জমিতে ফসল বা মাছ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষিজমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর বা ট্রলি গাড়ি। এসব ট্রাক্টর বা ট্রলির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে।, উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর, কাজিরচক, গন্ধবপুর, চৌমুহনী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর, কাশিমপুর, আরিছপুর, হরিণখোলা, মনোহরপুর, রামনগর, কমলপুর, বরুড়া, বহরা ইউনিয়নের বহরা, হবিবপুর, আফজলপুর, ঘিলাতলী, আদাঐর-ইউনিয়নের আদাঐর, গোপালপুর, মিঠাপুকুর, আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, বুল্লা, বাঘাসুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা এক্সক্যাভেটর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটছেন। কেটে নেওয়া মাটি ট্রাক্টর বা ট্রলিতে করে কাছের ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে। এক্সক্যাভেটর দিয়ে আবাদি জমির টপ সয়েল কাটতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে। আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা কাজ করছে। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
চৌমুহনী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সোনাই নদীর পাড় কেটে একটি প্রভাবশালী মহল বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতায় ফসলি জমি ও নদী পাড়ের মাটি কেটে পাচারের হিড়িক পড়েছে এ অঞ্চলে। রাতের আঁধারে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এসব স্থানের মাটি কেটে পাচার করছে অবৈধ ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাটের কাজে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক, সেতু, তিন ফসলি জমিসহ আশপাশের পরিবেশ। তবে এসব ঘটনায় নীরব রয়েছে প্রশাসন।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় পুষ্টি উপাদান কমে গিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি না করার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।মাটি কাটা বন্ধ না হলে ভবিষ্যৎ খাদ্য উৎপাদন কমে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

মাধবপুর সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মুজিবুল হক বলেন,মাটির পাচার ও মাটি কাটার অভিযোগ পেলে অভিযান করা হচ্ছে।মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে শতাধিক লোকজনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।প্রশাসন খুব আন্তরিক রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

সার্কের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন কমলগঞ্জের কৃতি সন্তান তানভীর আহমেদ

মাধবপুরে ফসলি জমির সর্বনাশ

আপডেট সময় ০৩:২১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

মাধবপুর( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক্সক্যাভেটর দিয়ে জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটাসহ জমি ভরাট কাজে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ কৃষিজমি তিন ফসলি। এখানে বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ ধান আবাদ করা হয়। কিন্তু প্রতিবছর এ উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমির মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষক থেকে মাটি কিনে তা ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে।

দৈনিক বাংলার খবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল whatsapp চ্যানেল ফলো করুন।।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় কয়েকটি শক্তিশালী মাটি ব্যবসায়ী চক্র গড়ে উঠেছে। এরা দরিদ্র কৃষককে নানা প্রলোভন দেখিয়ে জমির মাটি কিনে নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনের তাগিদে নগদ অর্থ পেতে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ৮-১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে অনেক জমি পুকুর বা ডোবায় পরিণত হয়েছে। এসব জমিতে ফসল বা মাছ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষিজমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর বা ট্রলি গাড়ি। এসব ট্রাক্টর বা ট্রলির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে।, উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর, কাজিরচক, গন্ধবপুর, চৌমুহনী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর, কাশিমপুর, আরিছপুর, হরিণখোলা, মনোহরপুর, রামনগর, কমলপুর, বরুড়া, বহরা ইউনিয়নের বহরা, হবিবপুর, আফজলপুর, ঘিলাতলী, আদাঐর-ইউনিয়নের আদাঐর, গোপালপুর, মিঠাপুকুর, আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, বুল্লা, বাঘাসুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা এক্সক্যাভেটর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটছেন। কেটে নেওয়া মাটি ট্রাক্টর বা ট্রলিতে করে কাছের ইটভাটায় পাঠানো হচ্ছে। এক্সক্যাভেটর দিয়ে আবাদি জমির টপ সয়েল কাটতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে। আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা কাজ করছে। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
চৌমুহনী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সোনাই নদীর পাড় কেটে একটি প্রভাবশালী মহল বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতায় ফসলি জমি ও নদী পাড়ের মাটি কেটে পাচারের হিড়িক পড়েছে এ অঞ্চলে। রাতের আঁধারে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এসব স্থানের মাটি কেটে পাচার করছে অবৈধ ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাটের কাজে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক, সেতু, তিন ফসলি জমিসহ আশপাশের পরিবেশ। তবে এসব ঘটনায় নীরব রয়েছে প্রশাসন।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় পুষ্টি উপাদান কমে গিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রি না করার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।মাটি কাটা বন্ধ না হলে ভবিষ্যৎ খাদ্য উৎপাদন কমে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

মাধবপুর সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মুজিবুল হক বলেন,মাটির পাচার ও মাটি কাটার অভিযোগ পেলে অভিযান করা হচ্ছে।মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে শতাধিক লোকজনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।প্রশাসন খুব আন্তরিক রয়েছে।