ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সার্কের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন কমলগঞ্জের কৃতি সন্তান তানভীর আহমেদ Logo সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট ছেলের পোষ্ট Logo সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু গ্রেফতার Logo মিশাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, তবে ঘটনা ভিন্ন Logo ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫-এ মিশু থাকছেন কি না, জানালেন অমি Logo মুস্তাফিজের পর দল পেলেন সাকিবও Logo বর্ষায় ডুবে যায় সড়ক, উঁচু ও টেকসই নির্মাণে জোর দাবি লাখাই ইউনিয়নবাসীর Logo লাখাইয়ে হৃদয় হত্যা মামলার ১ আসামি গ্রেফতার Logo সারাদেশে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হলেন জামালপুরের ফারজানা ইসলাম Logo সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এ অশ্লীলতার অভিযোগ, লিগ্যাল নোটিশ ৯ তারকাকে

লাখাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামে তালা ও অবৈধ বসবাস

Oplus_131072

পারভেজ হাসান লাখাই থেকেঃ 
লাখাইয়ের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত অনেক ঘরে তালা ঝুলছে। অনেকেরই বরাদ্দকৃত ঘরে অন্য লোকের বসবাস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  প্রকৃত ভূমিহীন বাছাই করতে না পারা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত অনেকের।

 যেসব ঘরে তালা ঝুলছে এবং  বেনামে বসবাস করছে সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেওয়ার মত প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।  ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার ধাপে  ১২৫টি পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি পরিবার ২ শতাংশ জমির দলিল পেয়েছে।

এসব ঘর নির্মাণের পর সুবিধাভোগীদের বরাদ্দ দেয় লাখাই  উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মশাদিয়া  গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ২৬টি ঘরের মধ্যে ১১টি টিতে বসবাস করছেন দলিল গৃহিতরা, এবং বেনামে বসবাস করছেন ৭টি সুবিধাভোগী পরিবার। বাকি ঘরগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেকেই নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে লাকড়ি রেখেছেন।

  বামৈ ইউনিয়নে ভাদিকারা আবাসনের বাসিন্দা জেসমিন আক্তার বলেন, এ প্রকল্পে ৩৬টি  বরাদ্দকৃত ঘর রয়েছে। এবং যাদের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে, তাদের অনেকের নিজস্ব ঘরবাড়ি ও জমিজমা আছে, সে কারণে তারা এখানে থাকে না।

২০২৪ইংরেজি সনে বন্যায় কবলিত হয়ে ১১টি অসহায় পরিবার আশ্রয়ণ গ্রামে আশ্রয় নেন এবং বসবাস শুরু করেন। বন্যার পানি চলে গেলে সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেন কিন্তু তারা যাননি,এক সময় তাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়,তারপরও তারা যাননি, গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি  বুধবার সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই ১১টি পরিবার এখনো বসবাস করছেন,এই অবৈধ পরিবারে সদস্য নাম বলতে অনিচ্ছুক, তিনি বলেন,আমাদের ভিটামাঠি কিছুই নেই সেজন্য এখানে বসবাস করছি। আরেক অবৈধ সদস্য   বলেন, তাঁর নিজস্ব বাড়ি থাকলেও ছেলের থাকার ঘর নেই। সে জন্য সরকারি ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে নাম দিতে বলেছিলেন। পরে বরাদ্দ আসে।

একই আবাসনে আরেকটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন করাব ইউপির বাসিন্দা সাদন সরকার। তাঁরও নিজস্ব জায়গায় বাড়ি আছে, তিনি একা সেখানেই বসবাস করেন, এবং নিজস্ব বাড়ীতে উনার ছেলে তার বউকে নিয়ে বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে বামৈ ইউপির এক সমাজ সেবক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ইউএনওরা সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেন না। এ কারণে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করা যায়নি। তিনি বেশ কয়েকজনের নাম দিয়েছেন। কিন্তু সবাই পায়নি। যারা পেয়েছে, সবাই গৃহহীন। এ ছাড়া মনতৈল, কাশিমপুর,মুড়াকরি এই সব প্রকল্পেও রয়েছে নানা সমস্যা,এ ব্যাপারে 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশের সাথে মুঠো ফোনে বার বার ফোন করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নাই।

আপলোডকারীর তথ্য

Liton Bin Islam

সার্কের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন কমলগঞ্জের কৃতি সন্তান তানভীর আহমেদ

লাখাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামে তালা ও অবৈধ বসবাস

আপডেট সময় ১০:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

পারভেজ হাসান লাখাই থেকেঃ 
লাখাইয়ের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত অনেক ঘরে তালা ঝুলছে। অনেকেরই বরাদ্দকৃত ঘরে অন্য লোকের বসবাস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  প্রকৃত ভূমিহীন বাছাই করতে না পারা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত অনেকের।

 যেসব ঘরে তালা ঝুলছে এবং  বেনামে বসবাস করছে সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেওয়ার মত প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।  ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার ধাপে  ১২৫টি পরিবারের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি পরিবার ২ শতাংশ জমির দলিল পেয়েছে।

এসব ঘর নির্মাণের পর সুবিধাভোগীদের বরাদ্দ দেয় লাখাই  উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মশাদিয়া  গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ২৬টি ঘরের মধ্যে ১১টি টিতে বসবাস করছেন দলিল গৃহিতরা, এবং বেনামে বসবাস করছেন ৭টি সুবিধাভোগী পরিবার। বাকি ঘরগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেকেই নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে লাকড়ি রেখেছেন।

  বামৈ ইউনিয়নে ভাদিকারা আবাসনের বাসিন্দা জেসমিন আক্তার বলেন, এ প্রকল্পে ৩৬টি  বরাদ্দকৃত ঘর রয়েছে। এবং যাদের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে, তাদের অনেকের নিজস্ব ঘরবাড়ি ও জমিজমা আছে, সে কারণে তারা এখানে থাকে না।

২০২৪ইংরেজি সনে বন্যায় কবলিত হয়ে ১১টি অসহায় পরিবার আশ্রয়ণ গ্রামে আশ্রয় নেন এবং বসবাস শুরু করেন। বন্যার পানি চলে গেলে সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেন কিন্তু তারা যাননি,এক সময় তাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়,তারপরও তারা যাননি, গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি  বুধবার সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই ১১টি পরিবার এখনো বসবাস করছেন,এই অবৈধ পরিবারে সদস্য নাম বলতে অনিচ্ছুক, তিনি বলেন,আমাদের ভিটামাঠি কিছুই নেই সেজন্য এখানে বসবাস করছি। আরেক অবৈধ সদস্য   বলেন, তাঁর নিজস্ব বাড়ি থাকলেও ছেলের থাকার ঘর নেই। সে জন্য সরকারি ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে নাম দিতে বলেছিলেন। পরে বরাদ্দ আসে।

একই আবাসনে আরেকটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন করাব ইউপির বাসিন্দা সাদন সরকার। তাঁরও নিজস্ব জায়গায় বাড়ি আছে, তিনি একা সেখানেই বসবাস করেন, এবং নিজস্ব বাড়ীতে উনার ছেলে তার বউকে নিয়ে বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে বামৈ ইউপির এক সমাজ সেবক বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ইউএনওরা সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নেন না। এ কারণে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন বাছাই করা যায়নি। তিনি বেশ কয়েকজনের নাম দিয়েছেন। কিন্তু সবাই পায়নি। যারা পেয়েছে, সবাই গৃহহীন। এ ছাড়া মনতৈল, কাশিমপুর,মুড়াকরি এই সব প্রকল্পেও রয়েছে নানা সমস্যা,এ ব্যাপারে 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশের সাথে মুঠো ফোনে বার বার ফোন করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নাই।